ওয়ানডে ফরম্যাটে অতীতে নিজেদের সেরা নৈপুণ্য প্রদর্শন করেছে বাংলাদেশ জাতীয় দল। তবে দ্বাদশ বিশ্বকাপে ব্যর্থ হয়েছে তারা। তারপরও ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের সুনাম রয়েছে। তবে টি-২০ ফরম্যাটে নিজেদের ভালোভাবে মেলে ধরতে পারেনি টাইগাররা। এখন পর্যন্ত টি-২০ ফরম্যাটে সেরা সাফল্যও পায়নি বাংলাদেশ।
২০২০ সালে অস্ট্রেলিয়ার অনুষ্ঠিত হবে টি-২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেট। ওই বিশ্বকাপকে সামনে রেখে পাইপ-লাইন শক্তিশালী করতে বাংলাদেশ হাই-পারফরমেন্স (এইচপি) ইউনিটে চোখ দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
টি-২০ ফরম্যাটে ভালো করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে বিসিবি। অস্ট্রেলিয়ায় টি-২০ বিশ্বকাপে ভালো করতে বেশ কিছু পরিকল্পনা প্রণয়ন করা ও এইচপিকে ভালোভাবে গড়ে তোলার পাশাপাশি বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। টি-২০ বিশ্বকাপের মূল লড়াইয়ের আগে বাছাই পর্ব খেলতে হবে বাংলাদেশকে। এ জন্য এখন থেকেই নিজেদের তৈরি করতে উদগ্রীব বাংলাদেশ।
এ ব্যাপারে এইচপির প্রধান কোচ সাইমন হেলমট বলেছেন, ‘এ স্কোয়াডের যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু টি-২০ অনেক কঠিন ফরম্যাট। আমরা বাছাই পর্বে তিনটি ম্যাচ খেলব বেলিরিভ ও হোর্বাটে। সেখানকার মাঠগুলো অনেক লম্বা, ছোট স্কোয়ার এবং খুব ভালো উইকেট। পাওয়া-প্লেতে উইকেট নিতে পারে আমাদের এমন বোলার প্রয়োজন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এছাড়া আমাদের শক্তিশালী ব্যাটসম্যান প্রয়োজন, যে কি-না সোজা ব্যাটে ও উইকেটের চারপাশে খেলতে পারবে। টি-২০ ফরম্যাটে শক্তিশালী, দ্রুতগতির ও তৎপর খেলোয়াড় প্রয়োজন। উইকেট নিতে পারবে এবং ভালো লেন্থে বোলিং করতে পারবে। আমার মনে হয়, আমাদের তা আছে।’
হেলমট অস্ট্রেলিয়ান হওয়াতে নিজ দেশের উইকেট সর্ম্পকে তার ভালো ধারণা থাকবে বলে মনে করে বিসিবি। তাই অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনে ভালো মানের টি-২০ খেলোয়াড় খুঁজে বের করতে হেলমট বড় অবদান রাখবে বলে আশাবাদী বিসিবি।
হেলমট বলেন, ‘ডেথ বোলিং-এ দারুণ বল করে মোস্তাফিজ ও সাইফউদ্দিন। ভালো ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি আমাদের বড় জুটি প্রয়োজন। মুশফিক ভালো ব্যাটসম্যান। বিপিএল ও জাতীয় দলে সে ভালো পারফর্ম করেছে। সাকিব দারুণ এক অলরাউন্ডার। তবে আমার মনে হয়, আমাদের আরও কিছু ভালো মানের খেলোয়াড় থাকতে হবে। যারা কি-না ২০২০ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ভালো ফর্মে থাকবে।’
হেলমটের মতে, বাংলাদেশে অনেক প্রতিভা রয়েছে। বলেন, ‘আমাদের অনেক ভালো খেলোয়াড় রয়েছে। তবে আমরা আরও ভালো মানের খেলোয়াড় চাই। আমরা প্রতিভা অন্বেষণ কার্যক্রম পরিচালনা করবো। যেখানে স্পিন, পেস, ব্যাটিং, উইকেটরক্ষক ক্যাম্প হবে। আমাদের ফিটনেসে উন্নতির প্রয়োজন রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ফিল্ডিং, ফিটনেস, শক্তি ও কন্ডিশনের ওপর জোড় দিচ্ছি। আমরা ব্যাকফুটে উন্নতি জন্য জোড় দিচ্ছি। কারণ বিশ্বকাপে আমরা দেখেছি, শর্ট বলে সমস্যা হয়েছে। তাই আমাদের এ অঞ্চলে ভালো করতে হবে এবং অনেক পরিশ্রম করতে হবে। সাকিব-মাহমুদুল্লাহ-মুশফিক-ফিজ এ সিস্টেমের মধ্যেই এসেছিলেন।’