পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে নিউজিল্যান্ডের কাছে হোয়াইটওয়াশ হবার পর দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিংয়ে টি-টুয়েন্টি সিরিজও হার দিয়ে শুরু করলো পাকিস্তান।
সোমবার তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বোলারদের নৈপুণ্যে কিউইরা ৭ উইকেটে হারায় পাকিস্তানকে। এ জয়ে টি-টায়েন্টি সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল নিউজিল্যান্ড।
ওয়েলিংটনে টস জিতে পাকিস্তানেক প্রথমে ব্যাটিং করার আমন্ত্রণ জানান নিউজিল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক টিম সাউদি। বল হাতে ইনিংসের শুরু থেকেই পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানদের উপর আধিপত্য বিস্তার করতে থাকেন নিউজিল্যান্ডের বোলাররা। দলীয় ৪ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে পাকিস্তান। ফলে ২ বল হাতে রেখে মাত্র ১০৫ রানেই অলআউট হয় পাকিস্তান।
টসম্যান বাবর আজম ও বোলার হাসান আলী ছাড়া অন্য কোন ব্যাটসম্যানই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি। বাবর ১টি করে চার ও ছক্কায় ৪১ বলে ৪১ ও নয় নম্বরে নামা হাসান ৩টি ছক্কায় ১২ বলে ২৩ রান করেন। নিউজিল্যান্ডের সাউদি ও সিথ রেন্স ৩টি করে এবং বাঁ-হাতি স্পিনার মিচেল স্যান্টনার ২টি উইকেট নেন।
জয়ের জন্য ছোট লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই হোচট খায় নিউজিল্যান্ড। ৮ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। দু’টি উইকেটই নেন রুম্মান রইস। মার্টিন গাপটিল ২ ও উইকেটরক্ষক গ্লেন ফিলিপস ৩ রান করে আউট হন।
এরপর পাকিস্তানের বোলারদের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়ান আরেক ওপেনার কলিন মুনরো ও টম ব্রুস। তাদের ৪৯ রানের জুটিতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় নিউজিল্যান্ড। ২২ বলে ২৬ রান করে তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন ব্রুস।
দলীয় ৫৭ রানে ব্রুসের বিদায়ের পর অবিচ্ছিন্ন ৪৯ রানের জুটি গড়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন গাপটিল ও রস টেইলর। ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪৩ বলে ৪৯ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচ সেরা হন মুনরো। ১৩ বলে ২২ রান করে অপরাজিত থাকেন টেইলর।
ম্যাচ শেষে নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক সাউদি বলেন, ‘শুরুতে পাকিস্তানকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেয়ায় ম্যাচ জয় সহজ হয়েছে। দারুন বোলিং করেছে রেন্স। সে তার নিজের সামর্থ্য প্রমাণ করেছে।’
শুরুতেই উইকেট হারানোয় ম্যাচ হারের কারণ বলে মনে করেন পাকিস্তানের অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। বলেন, ‘শুরুতেই আমরা গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি উইকেট হারিয়ে ফেলি। পুরো ম্যাচেই যা আামদের ভুগিয়েছে।’
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
পাকিস্তান : ১০৫/১০, ১৯.৪ ওভার (বাবর ৪১, হাসান ২৩, সাউদি ৩/১৩)।
নিউজিল্যান্ড : ১০৬/৩, ১৫.৫ ওভার (মুনরো ৪৯*, ব্রুস ২৬, রইস ২/২৪)।
ফল : নিউজিল্যান্ড ৭ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : কলিন মুনরো (নিউজিল্যান্ড)।
সিরিজ : তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে নিউজিল্যান্ড।