ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ওয়ানডে সংস্করণ শুরুর আগেই বড়সড় ধাক্কা খেয়েছেন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের তিন ক্রিকেটার। ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটির নিয়ম বহির্ভূত সিদ্ধান্তে দুশ্চিন্তায় দিন পার করছেন মোহাম্মদ আজিম, রাহাতুল ফেরদৌস ও নুরুজ্জামান।
প্লেয়ার্স ডাফট থেকে এই তিন ক্রিকেটারকে স্কোয়াডে রাখলেও তাদের নতুন দল খুঁজতে বলেছে মোহামেডান কর্তৃপক্ষ। এমন অভিযোগ কানে এসেছে লিগের আয়োজক কমিটির প্রধান কাজী ইনাম আহমেদের।
মঙ্গলবার তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, তাদের না খেলালেও পারিশ্রমিক যা ধরা হয়েছিল তাই পরিশোধ করতে হবে মোহামেডানকে।
তিন ক্রিকেটারকে বিতাড়িত করে তাদের বিকল্প হিসেবে মোহামেডান তাদের দলে নিয়েছে শাহাদাত হোসেন রাজিব, সাকলাইন সজীব ও তুষার ইমরানকে। তারা তিনজনই প্লেয়ার্স ড্রাফটে দল পাননি।
তাদের মধ্যে মোহামেডানের জার্সিতে মঙ্গলবার প্রিমিয়ার টি-টুয়েন্টি টুর্নামেন্ট খেলতে নামেন সাকলাইন সজীব। ডাগআউটে ছিলেন শাহাদাত ও তুষার। মোহামেডানের ডেরায় দেখা যায়নি ড্রাফটে থাকা আজিম, রাহাতুল, নুরুজ্জামানকে।
ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিসের (সিসিডিএম) চেয়ারম্যান কাজী ইনাম মোহামেডানকে হুশিয়ার দিয়ে বলেন, ‘আমি এই বিষয় সম্পর্কে পত্রিকা পড়েই জেনেছি। আমি মোহামেডানের ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কথা বলেছি। মোহামেডান ক্লাব খেলোয়াড়দের সঙ্গে আলাপ করে বিষয়টা নিষ্পত্তি করে ফেলবে। সবচেয়ে বড় কথা এটার (ড্রাফট থেকে জোরপূর্বক স্কোয়াডের বাইরে ঢেলে দেয়া) কোনো সুযোগই নেই। এবার ক্লাবগুলোকে পরিষ্কারভাবে বলে দেয়া হয়েছে, খেলোয়াড়কে দলে নিয়ে না খেলালেও পারিশ্রমিকের পুরোটাই দিতে হবে।’
আরো একটু যোগ করে কাজী ইনাম বলেন, ‘যদি কোনো খেলোয়াড়ের পারিশ্রমিক নিয়ে কোনো প্রশ্ন আসে, তাহলে সিসিডিএম ও বিসিবি দুটি জিনিস করতে পারবে। একটা পয়েন্ট কেটে নেয়া, অন্যটা ক্লাবকে সাসপেন্ড করে দিতে পারি।’