শাদাব খানের দুর্দান্ত বোলিং ও ব্যাটিংয়ে অবশেষে পাকিস্তানের মান বাঁচালো। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-২০ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ২৭ রানে জয় পেয়েছে পাকিস্তান।
সেঞ্চুরিয়নে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং বেছে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ব্যাটিং-নেমে পাকিস্তানের টপ-অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ছোট ছোট ইনিংসের কল্যাণে ১২ ওভারে ৯৪ রানে পৌছে যায় পাকিস্তান। ততক্ষণে ৫ উইকেট হারিয়েও বসে তারা। বাবর আজম ২৩, ফখর জামান ১৭, মোহাম্মদ রিজওয়ান ২৬, অধিনায়ক শোয়েব মালিক ১৮, হুসেন তালাত ৩ রান করে ফিরেন।
শেষের দিকে, আসিফ আলির ২০ বলে ২৫, ইমাদ ওয়াসিমের ১৩ বলে ১৯ ও শাদাব খানের মাত্র ৮ বলে অপরাজিত ২২ রানের টর্নেডো ইনিংসে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৬৮ রানের সংগ্রহ পায় পাকিস্তান। নয় নম্বরে নামা শাদাবের ছোট ইনিংসে ৩টি ছক্কা ছিলো। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্রুইন হেনড্রিকস ১৪ রানে ৪ উইকেট নেন।
১৬৯ রানের জয়ের লক্ষ্যে শুরুতেই বিপদে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৩০ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। মিডল-অর্ডারও ব্যর্থ হলে ৮০ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে লড়াই থেকে ছিটকে পড়ে প্রোটিয়ারা। ভ্যান ডান ডুসেনের ৩৫ বলে ৪১ রান ছিলো টপ-অর্ডার ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ।
স্বীকৃত ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ১শর নীচে গুটিয়ে যাবার শংকায় পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে সাত নম্বরে ব্যাট হাতে নেমে দুর্দান্ত একটি ইনিংস খেলেন ক্রিস মরিস। ৫টি চার ও ৩টি ছক্কায় মাত্র ২৯ বলে ৫৫ রান করেন তিনি। ফলে বড় ব্যবধানে হারের মুখ থেকে রক্ষা পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪১ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় প্রোটিয়ারা। পাকিস্তানের মোহাম্মদ আমির শিকার করেন ৩ উইকেট । ম্যাচ সেরা হয়েছেন পাকিস্তানের শাদাব খান, সিরিজ সেরা দক্ষিণ আফ্রিকার ডেভিড মিলার।
টি-২০ লড়াইয়ের আগে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ৩-০, পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ৩-২ ব্যবধানে জিতেছিলো দক্ষিণ আফ্রিকা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
পাকিস্তান : ১৬৮/৯, ২০ ওভার (রিজওয়ান ২৬, আসিফ ২৫, হেনড্রিকস ৪/১৪)।
দক্ষিণ আফ্রিকা : ১৪১/৯, ২০ ওভার (মরিস ৫৫*, ডুসেন ৪১, আমির ৩/২৭)।
ফল : পাকিস্তান ২৭ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : শাদাব খান (পাকিস্তান)।
সিরিজ সেরা : ডেভিড মিলার (দক্ষিণ আফ্রিকা)।
সিরিজ : পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ৩-২ ব্যবধানে জিতলো দক্ষিণ আফ্রিকা।