টেস্ট ও ওয়ানডের পর পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজও জিতে নিলো স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানকে ৭ রানে হারিয়েছে প্রোটিয়ারা। এর ফলে এক ম্যাচ হাতে রেখে তিন টি-২০ সিরিজ জয় নিশ্চিত করে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল প্রোটিয়ারা।
জোহানেসবার্গে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্বান্ত নেয় পাকিস্তান। ব্যাট হাতে ইনিংসের শুরুতেই ৫৮ রানের জুটি পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে দুই ওপেনার বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। রেজা হেনড্রিকস ২৮ ও জানেমান মালান ৩৩ রানে থামেন।
তিন নম্বরে নামা ভ্যান ডার ডুসেনও ভালো শুরু করে বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ২৭ বলে এক চার ও চার ছক্কায় ৪৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। তবে হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক ডেভিড মিলার। মারমুখী মেজাজে ব্যাট করে দক্ষিণ আফ্রিকারকে বড় স্কোর এনে দিয়েছেন তিনি। ৪টি চার ও ৫টি ছক্কায় ২৯ বলে অপরাজিত ৬৫ রান করেন মিলার। ফলে ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৮৮ রানের সংগ্রহ পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। বল হাতে পাকিস্তানের ইমাদ ওয়াসিম ও শাহিন শাহ আফ্রিদি ১টি করে উইকেট নেন।
সিরিজে সমতা আনতে জয়ের জন্য ১৮৯ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে দলীয় ৪৫ রানে প্রথম উইকেট হারায় পাকিস্তান। ১৪ রান করে ফিরেন ওপেনার ফখর জামান। এরপর হুসেন তালাতকে নিয়ে ৭৩ বল মোকাবেলা করে ১০২ রানের জুটি গড়েন পাকিস্তানকে ভালোভাবে লড়াইয়ে রাখেন বাবর। তবে দলীয় ১৪৭ রানে থামেন বাবর। তখন তার নামের পাশে ছিল ৫৮ বলে ৯০ রান। ১৩টি চার ও ১টি ছক্কায় নিজের ইনিংসটি সাজান বাবর।
বাবর যখন ফিরেন তখন ম্যাচ জয়ের জন্য ২৩ বলে ৪২ রান দরকার পড়ে পাকিস্তানের। কিন্তু ১৫৮ থেকে ১৭৪ রানে পৌঁছাতেই আরও ৩ উইকেট হারিয়ে বসে সফরকারীরা। ফলে ম্যচের নিয়ন্ত্রণ নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। তালাত ৪১ বলে ৫৫, আসিফ আলি ২ ও ওয়াসিম ৬ রান করে আউট হন।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য ৬ বলে ১৫ রান দরকার পড়ে পাকিস্তানের। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার আন্দিলা ফেলুকুওয়াও ঐ ওভারে ২ উইকেট শিকার করে মাত্র ৭ রান দেন। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৮১ রান তুলে ম্যাচ ও সিরিজ হারে পাকিস্তান। দক্ষিণ আফ্রিকার ফেলুকুওয়াও ৩৬ রানে ৩ উইকেট নেন।
প্রথম টি-২০ ম্যাচ ৬ রানে জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি সেঞ্চুরিয়ানে হবে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-২০ ম্যাচ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
দক্ষিণ আফ্রিকা : ১৮৮/৩, ২০ ওভার (মিলার ৬৫*, ডুসেন ৪৫, ওয়াসিম ১/৯)
পাকিস্তান : ১৮১/৭, ২০ ওভার (বাবর ৯০, তালাত ৫৫, ফেলুকুওয়াও ৩/৩৬)
ফল : দক্ষিণ আফ্রিকা ৭ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : ডেভিড মিলার (দ.আফ্রিকা)।