সফরের শেষ ম্যাচেও শ্রীলংকাকে জিততে দিলো না স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। শ্রীলংকার বিপক্ষে সিরিজের একমাত্র টি-২০ ম্যাচও জিতলো কিউইরা। অকল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ম্যাচে নিউজিল্যান্ড ৩৫ রানে হারিয়েছে শ্রীলংকাকে।
ফলে টেস্ট ও ওয়ানডের পর এক ম্যাচের টি-২০ সিরিজও জিতে নিলো নিউজিল্যান্ড। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-০ ব্যবধানে, তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে জিতেছিলো কিউইরা। অর্থাৎ এবারের নিউজিল্যান্ড সফরে হোয়াইটওয়াশ হয়েই ফিরতে হলো শ্রীলংকাকে।
একমাত্র টি-২০তে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং বেছে নেয় শ্রীলংকা। ব্যাট হাতে নেমে শ্রীলংকার দুই উদ্বোধনী পেস বোলার অধিনায়ক লাসিথ মালিঙ্গা ও কাসুন রাজিথা। দু’জনে দু’টি করে উইকেট নিয়ে নিউজিল্যান্ডের টপ-অর্ডারকে চাপে ফেলেন দেন। মার্টিন গাপটিল ১ ও হেনরি নিকোলস ৪ রান করে মালিঙ্গার এবং কলিন মুনরো ১৬ ও টিম সেইফার্ট ২ রান করে রাজিথার শিকার হন।
এক পর্যায়ে ৫৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে নিউজিল্যান্ড। এ অবস্থা থেকে দলকে লড়াইয়ে ফেরান রস টেইলর-ডগ ব্রেসওয়েল-স্কট কুজেলিন ও টিম সাউদি। ছোট-ছোট ইনিংস খেলে দলকে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭৯ রানের সংগ্রহ এনে দেন এই চার ব্যাটসম্যান। টেইলর ৩৭ বলে ৩৩, ব্রেসওয়েল ২৬ বলে ৪৪, কুজেলিন ১৫ বলে অপরাজিত ৩৫ ও সাউদি ৮ বলে অপরাজিত ১৩ রান করেন। শ্রীলংকার রাজিথা ৪৪ রানে ৩ উইকেট নেন।
জবাবে ৫৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে শুরুতেই শুরুতেই চাপে পড়ে শ্রীলংকাও। দলকে খেলায় ফেরানোর লড়াই শুরু করেন ওয়ানডে সিরিজে বিধ্বংসী এক সেঞ্চুরি করা থিসারা পেরেরা। চার-ছক্কায় নিউজিল্যান্ডের বোলারদের উপর চাপ সৃষ্টি করেছিলেন পেরেরা। তবে যোগ্য সঙ্গীর অভাব ছিলো তার। তাই বেশি দূর যেতে পারেননি পেরেরা। ২৪ বলে ৪৩ রান করেন তিনি। তার ইনিংসে ২টি চার ও ৩টি ছক্কা ছিলো।
পেরেরার বিদায়ের পর আর কোন ব্যাটসম্যানই দলের হাল ধরতে পারেননি। তাই ১৯ বল বাকী থাকতে ১৪৪ রানে অলআউট হয় শ্রীলংকা। পেরেরার পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৩ রান আসে কুশল পেরেরার ব্যাট থেকে। নিউজিল্যান্ডের লুকি ফার্গুসন ও ইশ সোধি ৩টি করে উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হয়েছেন নিউজিল্যান্ডের ব্রেসওয়েল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
নিউজিল্যান্ড : ১৭৯/৭, ২০ ওভার (ব্রেসওয়েল ৪৪, কুজেলিন ৩৫*, রাজিথা ৩/৪৪)।
শ্রীলংকা : ১৪৪/১০, ১৬.৫ ওভার (থিসারা পেরেরা ৪৩, কুশল পেরেরা ২৩, ফার্গুসন ৩/২১)।
ফল : নিউজিল্যান্ড ৩৫ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : ডগ ব্রেসওয়েল (নিউজিল্যান্ড)।