বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার গতকাল শনিবার সিরিজ-নির্ধারণী টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আম্পায়ার তানভীর আহমেদের ভুল সিদ্ধান্ত দেন। এনিয়ে ক্যারিবিয় খেলোয়াড়রা যেমন সমালোচনা করেছেন ঠিক তেমনি বাংলাদেশের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এটা নিয়ে হচ্ছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।
তবে তানভীর নিজের ভুল অকপটেই স্বীকার করছেন। তিনি ভুল সিদ্ধান্ত দেওয়ার পর কোনো দিকেই মনোযোগ দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। ‘গতকাল কেবল ম্যাচ শেষ হয়েছে, আমি কোনো দিকেই মনোযোগ দিচ্ছি না। নিজের ভুলটা নিয়েই ভাবছি।’
টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের ইনিংসের চতুর্থ ওভারের ওশানে টমাসের ওভারে দুটি ‘নো বলে’র কল দেন আম্পায়ার তানভীর আহমেদ। এর মধ্যে একটিতে লিটন দাস বেঁচে যান ক্যাচ দিয়েও। পরে টিভি রিপ্লেতে দেখা গেল, টমাসের পা দাগের ভেতরেই ছিল। ক্যারিবীয় খেলোয়াড়েরা মাঠের বড় পর্দায় দেখেন, বলটি নো ছিল না। এরপরই অধিনায়ক কার্লোস ব্রাফেটের নেতৃত্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রতিবাদ জানায়। ৯ মিনিট খেলা বন্ধ থাকার পর পরিস্থিতি সামাল দিতে মাঠে নেমে আসতে হয়েছিল ম্যাচ রেফারি জেফ ক্রোকে।
এই আম্পায়ার ঘরোয়া ক্রিকেটে ভুল সিদ্ধান্ত দেওয়ার জন্য বিতর্কিত হয়েছেন। ভুল সিদ্ধান্তের কারণেই তার দিকে তেড়ে গিয়েছিলেন দেশের দুই সেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান এবং তামিম ইকবাল। ২০১৫ বিপিএলে তখনকার রংপুর রাইডার্স অধিনায়ক সাকিব আল হাসান তেড়ে গিয়েছিলেন তানভীর আহমেদের দিকে।
থিসারা পেরেরার বলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মুশফিক পরিস্কার কট বিহাইন্ড হলেও তা দেননি আম্পায়ার তানভীর। জোড়ালো আবেদন হয়। আম্পায়ারের সাড়া না পেয়ে সাকিব এর প্রতিবাদ জানান। পরিস্থিতি সামলাতে এগিয়ে আসতে হয় অপর আম্পায়ার শরফুদ্দৌলাকে। সেই আচরণের কারণে সাকিবকে এক ম্যাচ নিষিদ্ধও হতে হয়
এরপর ২০১৬ সালে সুপার লিগের প্রথম রাউন্ডে মুখোমুখি হয়েছিল আবাহনী লিমিটেড এবং প্রাইম দোলেশ্বর। সাকলাইন সজীবের বলে রকিবুল হাসান তখন ব্যাট করছিলেন। একটি স্টাম্পিংয়ের আবেদনে সাড়া না দিলে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আবাহনী শিবির। তামিম ইকবাল তেড়ে যান দুই আম্পায়ারের দিকে। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি স্থগিত হয়ে যায়।