বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল)পঞ্চম আসরের লিগ পর্বের সবগুলো ম্যাচ শেষ হয়েছে। লিগ পর্বে মোট ৪২টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে শেষে সবচেয়ে বেশি রান সংগ্রহের তালিকায় রয়েছে বিদেশি ব্যাটসম্যানরা। তবে বোলিংয়ে সেরা পারফরমেন্স প্রদর্শন করে চলেছেন বাংলাদেশের বোলাররা।
শীর্ষ পাঁচের সবক’টিতেই আছেন বাংলাদেশের বোলাররা। সবার শীর্ষে আছেন ঢাকা ডায়নামাইটসের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ১১ ম্যাচে সর্বোচ্চ ১৯ উইকেট দখল করে নিয়েছেন সাকিব। শুধু তাই নয়, এবারের আসরে সবচেয়ে সেরা বোলিং ফিগারটাও সাকিববের দকলে। রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ৩.৫ ওভার বল করে মাত্র ১৬ রান দিয়ে তিনি নিয়েছেন ৫ উইকেট। ৫ উইকেট ছাড়াও একবার ৪ উইকেট নিয়েছিলেন সাকিব। ১১ ম্যাচে মোট ৩৮.৫ ওভার বল করেছেন তিনি। ৬.৩৩ ইকনোমি রেটে রান দিয়েছেন ২৪৬টি। মেডেন নিয়েছিলেন ২টি। সর্বোচ্চ মেডেন সাকিব আল হাসানেরই।
এবারের আসরে ৫ উইকেট পেয়েছেন আরও তিনজন। এর মধ্যে একজনই বিদেশি। পাকিস্তানের হাসান আলি। ৩.৩ ওভার বল করে ২০ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়েছেন তিনি। বাকি দু’জন হলেন বাংলাদেশের শফিউল ইসলাম এবং নাসির হোসেন। শফিউল দিয়েছিলেন ২৬ রান এবং নাসির দিয়েছিলেন ৩১ রান।
সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের তালিকায় দ্বিতীয়স্থানে রয়েছেন খুলনা টাইটান্সের বাংলাদেশি পেসার আবু জায়েদ রাহীর। ১১ ম্যাচ খেলে তিনি নিয়েছেন মোট ১৮ উইকেট। যদিও ইকনোমি রেট তার অনেক বেশি। ৯.০৫ করে। ৩৮ ওভার বল করে তিনি রান দিয়েছেন ৩৪৪টি। ১৫ উইকেট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। তার ইকনোমি রেট ৭.৪৩ করে।
ঢাকার আবু হায়দার রনি এবং চিটাগংয়ের তাসকিন আহমেদ দু’জনই নিয়েছেন ১৪ টি করে উইকেট। রনির ইকনোমি রেট ৭.৫৪ এবং তাসকিনের ইকনোমি রেট ৯.৩৪ করে। মাশরাফি রয়েছেন ৬ নম্বরে। তিনি উইকেট নিয়েছেন ১৩টি। বিদেশিদের মধ্যে শীর্ষে শহিদ আফ্রিদি। তিনি নিয়েছেন ১২ উইকেট।
ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সেরা পাঁচে বাংলাদেশের রয়েছেন কেবল ১জন। তিনি রংপুর রাইডার্সের ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিথুন। সেরা রানসংগ্রহকারীদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছেন রংপুর রাইডার্সের রবি বোপারা। ১২ ম্যাচে তার সংগ্রহ ৩৬৫ রান। হাফ সেঞ্চুরি ২টি। ঢাকার এভিন লুইস ১০ ম্যাচ খেলে সংগ্রহ করেছেন ৩৩৪ রান। হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে তার ৩টি।
৩২১ রান নিয়ে চিটাগং ভাইকিংসের অধিনায়ক লুক রনকি রয়েছেন তিন নম্বরে। তার হাফ সেঞ্চুরি ২টি। ৩১৭ রান নিয়ে সিলেট সিক্সার্সের ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচারের রয়েছেন চার নম্বরে। পাঁচ নম্বরে থাকা মোহাম্মদ মিথুনের রান ২৯৯। তিনিও খেলেছেন ১২ ম্যাচ। হাফ সেঞ্চুরি ১টি।
সর্বোচ্চ ছক্কা মেরেছেন ঢাকার এভিন লুইস। ১০ ম্যাচে তার ব্যাট থেকে এসেছে ২৩টি ছক্কা। বাউন্ডারি মেরেছেন ২৯টি। তবে সর্বোচ্চ বাউন্ডারি মারার তালিকায় শীর্ষে তামিম ইকবাল। তিনি ৮ ম্যাচ খেলে বাউন্ডারি মেরেছেন ৩৬টি। ৩৪টি বাউন্ডারি মেরেছেন সিলেটের আন্দ্রে ফ্লেচার।
লিগ পর্ব শেষে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি বোলাররা