ছয় বলে ছয় ছক্কা না হয় আরও কয়েকজন মেরেছেন। তাই বলে ১২ বলে হাফসঞ্চুরির অবিশ্বাস্য রেকর্ডেও যে কেউ ভাগ বসাতে পারে, তা বোধহয় স্বপ্নেও ভাবেননি যুবরাজ সিং। ঠিক তেমনটাই হল আফগানিস্তান প্রিমিয়র লিগে। একই দিনে যুবরাজের দুই বিশ্বরেকর্ডের পাশে নিজের নাম জুড়ে নিলেন হাজরাতুল্লাহ জাজাই। বালখ লেজেন্ডের বিরুদ্ধে কাবুল জওয়াননের হয়ে ওপেন করতে নেমে ১৭ বলে ৬২ রানের ধ্বংসাত্মক ইনিংস খেলার পথে এমন জোড়া পালক নিজের মুকুটে যোগ করলেন জাজাই।
ক্রিস গেইলের ১০টি ছ্ক্কা ও ২টি চারের সাহায্যে ৪৮ বলে ৮০ রানের ইনিংসে ভর করে বালখ লেজেন্ড ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৪৪ রান তোলে। পাল্টা ব্যাট করতে নেমে লিউক রঞ্চির সঙ্গে ওপেনিং জুটিতে ঝড় তোলেন জাজাই। ৫.৫ ওভারে ৮৬ রান যোগ করার পর আউট হন তিনি।
তার আগে চতুর্থ ওভারে আব্দুল্লা মাজারির ছ’বলে ছ’টি ছক্কা মারেন হাজরাতুল্লাহ। মাঝে অবশ্য একটি ওয়াইড বল করেন মাজারি। যুবরাজের মতোই ১২ বলে ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন জাজাই। ৫০ রানের গণ্ডি টপকাতে তিনি সাহায্য নেন ৬টি ছক্কা ও ৩টি চারের। শেষ পর্যন্ত ১৭ বলের ইনিংসে জাজাই মারেন ৭টি ছক্কা ও ৪টি চার।
যদিও জাজাইের এমন বিধ্বংসী ইনিংস সত্ত্বেও তাঁর দল ২১ রানে হেরে যায়। ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ২২৩ রানের বেশি তুলতে পারেনি কাবুল। ম্যাচের সেরার পুরস্কারও ছিনিয়ে নিয়ে যান ক্রিস গেইল। টুর্নামেন্টে ইতিমধ্যেই একটি সেঞ্চুরি করেছেন জাজাই।
ডারবানে ২০০৭ টি-২০ বিশ্বকাপের ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১২ বলে হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন যুবি। এতদিন এককভাবে সেটিই ছিল টি-২০ ক্রিকেটে দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি। এবার যুবরাজের নামের পাশে বসে গেল জাজাইয়ের নাম। যুবরাজ স্টুয়ার্ট ব্রডের এক ওভারে ছ’টি ছক্কা মেরেছিলেন।
সবরকমের ক্রিকেট মিলিয়ে ছয় বলে ছয় ছক্কার নিরিখে জাজাই বসে পড়েন স্যার গ্যারি সোবার্স, রবি শাস্ত্রী, হার্সল গিবসদের সঙ্গে একাসনে। এছাড়া জর্ডন ক্লার্ক, রবীন্দ্র জাদেজারাও এক ওভারে ছটি ছক্কা মেরেছেন। অ্যালেক্স হেলস ও মিসবা উল হক ছ’বলে ছটি ছক্কা মারলেও তা এক ওভারে ছিল না।