বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ কিংবা অর্থনৈতিকভাবে দ্বিতীয় বৃহত্তম সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে চায়না পরিচিত হলেও এক দিকে নিজেদেরকে কোনভাবেই এগিয়ে নিতে পারছে না। বিশ্বের বিভিন্ন ক্রীড়া ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিকভাবে নিজেদের সুনাম বৃদ্ধি পেলেও ক্রিকেট মাঠে চাইনিজদের বিপক্ষে প্রতিপক্ষ দলগুলো বেশ আধিপত্যই দেখাচ্ছে।
তেমনি বুধবার আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে নেপালের বিপক্ষে মাত্র ২৬ রানে অল আউট হয়ে আবারও ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে চায়না। অন্যদিকে মাত্র ১১ বলেই নেপাল নির্ধারিত রান সংগ্রহ করে জয় তুলে নেয়।
টুর্নামেন্টে এর আগের ম্যাচগুলোতেও চায়না এভাবেই ব্যাটিং ব্যর্থতা দেখিয়েছে। সিঙ্গাপুরের বিপক্ষেও তারা মাত্র ২৬ রানে অল আউট হয়। এছাড়া অন্যান্য ম্যাচে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ৯ উইকেটে ৩৫ ও ভূটান ও মায়ানমারের বিপক্ষে অল আউট হয়েছে মাত্র ৪৫ ও ৪৮ রানে।
২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩ উইকেটে অস্ট্রেলিয়া সর্বোচ্চ ২৬৩ রানের ইনিংস উপহার দিয়েছিল। তার তুলনায় চায়নার সামনে এখনো অনেক পথ বাকি।
নেপালের বিপক্ষে চায়নার ওপেনিং ব্যাটসম্যান ইয়ান হংজিয়াং সর্বোচ্চ ১১ রান করেছেন। এরপর সবচেয়ে বেশি ১১ রান এসেছে অতিরিক্তের খাতা থেকে। আইপিএল বোলার সন্দীপ লামিচানে মাত্র ৪ রানে তুলে নিয়েছেন ৩ উইকেট। আটজন চাইনিজ ব্যাটসম্যান কোন রান না করেই সাজ ঘরে ফিরে গেছেন।
২০১০ সালে এশিয়ান গেমসের মাধ্যমে চায়নার ক্রিকেট প্রথম আন্তর্জাতিক আসরে পা রাখে। অলিম্পিকের বিভিন্ন ডিসিপ্লিন ও বিশেষ করে ফুটবলে চায়নার সমৃদ্ধ ইতিহাত থাকলেও ক্রিকেটটা চাইনিজরা ঠিকমত উপভোগ করতে পারছে না।
নেপালের সাবেক অধিনায়ক বিনোদ দাস বলেছেন, ‘দেশের আয়তন কিংবা শক্তি ক্রিকেটে কোন বিষয় নয়। আমরা তাদেরকে খাটো করে দেখতে পারি না। কারণ ভবিষ্যতে তারাও নিজেদের শক্তিমত্তার পরিচয় দেবে। অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে চায়না ইতোমধ্যেই গুরুত্বের সাথে কাজ শুরু করেছে।’