স্বাগতিক হলেও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দাগ কাটতে পারেনি পাকিস্তান। এবার ব্যাটিং ব্যর্থতায় বড় হার দিয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করলো সফরকারী পাকিস্তান। সিরিজের প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে ৯ উইকেটে হেরে গেছে তারা। এ জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল নিউজিল্যান্ড।
রোববার (১৬ মার্চ) ক্রাইস্টচার্চে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে শূন্য রানে দুই ওপেনার মোহাম্মদ হারিস ও হাসান নাওয়াজকে হারায় পাকিস্তান। এ নিয়ে দ্বিতীয়বার টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের দুই ওপেনার খালি হাতে সাজঘরে ফিরলেন। এর আগে ২০১৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মিরপুরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাকিস্তানের দুই ওপেনার আহমেদ শেহজাদ ও কামরান আকমল রানের খাতা খোলার আগেই আউট হন।
এরপর ইরফান খান ১ ও শাদাব খান ৩ রানে থামলে দলীয় ১১ রানে চতুর্থ উইকেট পতন হয় পাকিস্তানের। টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে কম রানে প্রথম ৪ উইকেট পতনে এটি পাকিস্তানের নয়া রেকর্ড। পাকিস্তানের পতন হওয়া ৪ উইকেটের তিনটি নেন নিউজিল্যান্ড পেসার কাইল জেমিসন।
পঞ্চম উইকেটে ৩৯ বলে ৪৬ রানের জুটিতে পাকিস্তানকে চাপমুক্ত করেন অধিনায়ক সালমান আগা ও খুশদিল শাহ। দলীয় ৬৪ রানের মধ্যে সালমান-খুশদিলের বিদায়ে পাকিস্তানের লড়াকু সংগ্রহের আশা শেষ হয়ে যায়। সালমান ১৮ ও খুশদিল ৩২ রান করেন।
লোয়ার-অর্ডারে জাহানদাদ খানের ১৭ রানের সুবাদে কোনমতে নব্বইয়ের ঘরে পা রাখতে পারে পাকিস্তান। ১৮.৪ ওভারে ৯১ রানে অলআউট হয় তারা। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এটিই সর্বনিম্ন রান পাকিস্তানের।
জ্যাকব ডাফি ১৪ রানে ৪টি এবং জেমিসন ৮ রানে ৩ উইকেট নেন। স্পিনার ইশ সোধি নেন ২ উইকেট।
৯২ রানের সহজ টার্গেটে ৩৫ বলে ৫৩ রানের সূচনা করেন নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার টিম সেইফার্ট ও ফিন অ্যালেন। পাওয়ার প্লে শেষ হবার ১ বল আগে থামেন ৭টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৯ বলে ৪৪ রান করা সেইফার্ট।
দ্বিতীয় উইকেটে ৩৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ৫৯ বল বাকী রেখে নিউজিল্যান্ডের জয় নিশ্চিত করেন অ্যালেন ও টিম রবিনসন। ঘরের মাঠে তৃতীয় সর্বোচ্চ বল হাতে রেখে জয়ের স্বাদ পেল কিউইরা। এই তালিকায় বাংলাদেশের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশী বল বাকী রেখে ম্যাচ জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। ২০১০ সালে হ্যামিল্টনে বাংলাদেশের ছুঁড়ে দেওয়া ৭৯ রানের টার্গেট ৭০ বল বাকী রেখে ১০ উইকেটে জয় পেয়েছিল ব্ল্যাকক্যাপসরা।
২টি করে চার-ছক্কায় অ্যালেন ১৭ বলে ২৯ ও রবিনসন ১৮ রানে অপরাজিত থাকেন। ম্যাচ সেরা হন নিউজিল্যান্ডের জেমিসন।