ভারতের কাছে অস্ট্রেলিয়ার হারের পর সেমিফাইনাল খেলতে বাংলাদেশের সামনে দারুণ এক সুযোগ তৈরি হয়েছিল। তবে সে সুযোগ কাজে লাগানো তো দূরের কথা, উল্টো আফগানিস্তানের কাছে পরাজয়ের স্বাদ নিয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তরা। আফগানরে কাছে লজ্জাজনক পরাজয়ের পরও মোট অঙ্কের অর্থ পাচ্ছে বাংলাদেশ।
বিশ্বকাপ শুরুর আগেই এবার রেকর্ড প্রাইজমানি ঘোষণা করেছিল আইসিসি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মোট প্রাইজমানি ১১.২৫ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ১৩২ কোটি টাকা। গত আসরের চেয়ে এবার প্রায় দিগুণ বরাদ্দ দিয়েছে আইসিসি।
আইসিসির ঘোষণা অনুযায়ী এবারের চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ২.৪৫ মিলিয়ন ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ২৯ কোটি টাকা। এছাড়া রানার্স-আপ দল পাবে ১.২৮ মিলিয়ন ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় সাড়ে ১৫ কোটি টাকা। সেমি-ফাইনাল থেকে বাদ পড়া দুই দল পাবে ৭, ৮৭, ৫০০ মার্কিন ডলার বা ৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা।
এছাড়া সুপার এইট থেকে বাদ পড়া চার দল পাবে ২ লাখ ৮২ হাজার ৫০০ ডলা র বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা করে। সে
হিসেবে বিশ্বকাপের সুপার এইট থেকে বিদায় নেওয়া বাংলাদেশ শুধু প্রাইজমানি হিসেবে এ পরিমাণ অর্থ পাবে।
একই সাথে বিশ্বকাপে প্রতিটি ম্যাচ জয়ের জন্য পাবে ৩১ হা জার ১৫৪ ডলার। সে হিসেবে তিন ম্যাচ জেতা বাংলাদেশ পাচ্ছে ৯৩ হাজার ৪৬২ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ৯ লাখ ৭৭ হাজার ৬৫৩ টাকা।
ফলে সব মিলিয়ে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে বাংলাদেশের আয় হচ্ছে ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৯৬২ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকারও বেশি। এর বাইরে ম্যাচ ফি, ম্যাচসেরার পুরস্কারসহ অন্যান্য আয় তো রয়েছেই।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দল এবারই প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটে খেলেছে। তবে সুপার এইটের তিন ম্যাচে কোনটাতেই জয় পায়নি টাইগাররা। ফলে নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে মেসি-ফাইনালে যাওয়ার সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ।