সফররত পাকিস্তানের বিপক্ষে চার ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি সারলো স্বাগতিক ইংল্যান্ড। সিরিজের চতুর্থ ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে বাবর আজমদের ৭ উইকেটে হারিয়ে দিয়েছে ইংলিশরা। চার ম্যাচ সিরিজে কোন জয় পায়নি পাকিস্তান।
সিরিজের প্রথম ও তৃতীয় ম্যাচ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়েছিল। তবে দ্বিতীয়টি ২৩ রানে জিতে এগিয়ে গিয়েছিল ইংলিশরা। শেষ ম্যাচে জয় তুলে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি সারলো ইংল্যান্ড।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দিনগত রাতে লন্ডনে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানকে ৬ ওভারে ৫৯ রানের সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান ও বাবর আজম। ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় ২২ বলে ৩৬ রান করা বাবরকে শিকার করে পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙ্গেন ইংল্যান্ডের পেসার জোফরা আর্চার।
বাবর ফেরার পর ইংল্যান্ডের স্পিনার আদিল রশিদের শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন ৩টি চারে ১৬ বলে ২২ রান করা রিজওয়ান। দলীয় ৬৫ রানে দুই ওপেনারের বিদায়ের পর ৮৬ রানে পঞ্চম উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে পাকিস্তান।
ষষ্ঠ উইকেটে ২৩ বলে ৪০ রান তুলে দলকে চাপমুক্ত করেন উসমান খান ও ইফতিখার আহমেদ। ১৫তম ওভারে উসমান (৩৮) ও ১৮তম ওভারে ইফতিখার (২১) আউট হলে পাকিস্তানের বড় সংগ্রহের আশা শেষ হয়ে যায়। শেষ দিকে নাসিম শাহর ১৬ রানের সুবাদে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫৭ অলআউট হয় পাকিস্তান। ইংল্যান্ডের রশিদ, লিভিংস্টোন ও উড ২টি করে উইকেট নেন।
জবাবে ৩৮ বলে ৮২ রানের সূচনা পায় ইংল্যান্ড। ৬টি চার ও ২টি ছক্কায় ২৪ বলে ৪৫ রান করে পেসার হারিস রউফের বলে বিদায় নেন ওপেনার ফিল সল্ট। দলের রান ১শ পার করে রউফের দ্বিতীয় শিকার হন ৭টি চার ও ১টি ছক্কায় ২১ বলে ৩৯ রান করা আরেক ওপেনার ও অধিনায়ক জশ বাটলার।
তিন নম্বরে উইল জ্যাকস ২০ রানে আউট হলেও, চতুর্থ উইকেটে ২৭ বলে অবিচ্ছিন্ন ৪৬ রান যোগ করে ২৭ বল বাকী রেখে ইংল্যান্ডের জয় নিশ্চিত করেন জনি বেয়ারস্টো ও হ্যারি ব্রুক।
১টি চার ও ৩টি ছক্কায় বেয়ারস্টো ১৬ বলে ২৮ এবং ১টি করে চার-ছক্কায় ১৪ বলে ১৭ রান করেন ব্রুক। পাকিস্তানের রউফ ৩ উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হন ইংল্যান্ডের রশিদ ও সিরিজ সেরা হন একই দলের বাটলার।