টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে দেশের উইকেট নিয়ে মুখ খুললেন টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। জানালেন, দলের কাছ থেকে ভালো কিছু আশা করলে ‘ভালো উইকেটে’ খেলার অভ্যাস থাকতে হবে।
বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে সংবাদ সংস্থা এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে টাইগার অধিনায়ক এমন মন্তব্য করেছেন। বিশ্বকাপের দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে টাইগারদের প্রতিপক্ষ ভারত।
বিশ্বকাপ পর্বে ঢোকার আগে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সিরিজ হারের লজ্জা পেয়েছে বাংলাদেশ। টেস্ট খেলুড়ে দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের মতো দলের কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হার বাংলাদেশের জন্য বড় লজ্জার। শুধু তাই নয়, ক্রিকেটের এই ছোট ফরম্যাটের বাংলাদেশ এখনো কতটা দুর্বল তা আবারও প্রকাশ পেয়েছে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সবগুলো আসরেই অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ। তবে কখনো নকআউট রাউন্ডে যেতে পারেনি। দলের এমন অবস্থার জন্য টাইগার অধিনায়ক অবশ্য দেশের উইকেটকেই দায়ী করেছেন।
নাজমুল হোসেন শান্ত বলেন, “প্রথমত আমাদেরকে ভালো উইকেটে খেলতে হবে। আমরা খুব কমই ভালো উইকেটে খেলি। এটাকে অনেকে অজুহাত হিসেবে দেখতে পারেন। তবে এটাই বাস্তবতা।”
যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সিরিজ হারের প্রধান কারণ ছিল টাইগারদের ব্যাটিং ব্যর্থতা। নাজমুল হোসেন শান্ত সে সময়ও ব্যাটারদের এমন ব্যর্থতার জন্য দেশের উইকেটকে দায়ী করেছিলেন।
তবে সব কিছু দ্রুতই সমাধান হয়ে যাবে তেমনটাও বলছেন না টাইগার অধিনায়ক। বলেন, “ছয় মাসের মধ্যে সব কিছু বদলে যাবে বা ঠিক হয়ে যাবে সেটা কঠিন। ভালো উইকেটে যদি এক-দুই বছর খেলতে থাকি আমরা, তাহলে স্ট্রাইক রেটের উন্নতি হবে।”
বাংলাদেশ বিশ্বকাপ দলে রয়েছেন দুই সিনিয়র ক্রিকেটার। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং সাকিব আল হাসান। বিশ্বকাপে দলের দুই সিনিয়র ক্রিকেটারের কাছে সেরাটাই চান অধিনায়ক। শান্ত বলেন, “অবশ্যই আমি চাইব তারা বিশ্বকাপে খেলুক, তাদের সেরাটা ঢেলে দিক।”
যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ অনুষ্ঠিত এবারের বিশ্বকাপ বাংলাদেশের এই দুজনের জন্য শেষ বিশ্ব আসরে হতে পারে। তবে সেটা নিয়ে ভাবছেন না টাইগার অধিনায়ক।
তিনি বলেন, “এটা তাদের সিদ্ধান্ত যে, তারা কখন তাদের ক্যারিয়ার শেষ করবেন। তবে অধিনায়ক হিসেবে আমি চাই, তারা যেন তাদের অভিজ্ঞতাটা প্রত্যেক খেলোয়াড়ের সঙ্গে ভাগাভাগি করে দেন।”
বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হিসেবে রয়েছে- দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও নেদারল্যান্ডস। গ্রুপ পর্ব পেরিয়ে নকআউট রাউন্ডে যেতে হলে বাংলাদেশকি তিনটি ম্যাচে জিততে হবে।