বিশ্বকাপের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ার আগে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ে সিরিজে ভালো করতে পারেনি টাইগার ব্যাটাররা। ফলে ফর্মে না থাকা বেশ কয়েকজনকে নিয়েই যেতে হয়েছে বিশ্বকাপের দেশে। তবে সেখানেও ব্যাট হাতে নিজেদের ফিরে পাচ্ছেন না টপ অর্ডার ব্যাটাররা। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচেই বাংলাদেশ পেয়েছে হারের লজ্জা।
যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে হেরে যাওয়া সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ব্যাট হাতে ব্যর্থ ছিলেন বাংলাদেশের টপঅর্ডার ব্যাটাররা। লিটন কুমার দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত এবং সাকিব আল হাসান ব্যাট হাতে ছিলেন হতাশার কাতারে। যা জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকেই ভুগছিলেন টাইগার ব্যাটাররা।
ম্যাচ শেষে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর কণ্ঠেও ব্যাটিং ব্যর্থতার বাণী। বলেন, “আমরা ভালো ব্যাটিং করিনি (যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে)। শুরু করেছিলাম তবে মাঝখানে আমরা দুয়েকটি উইকেট হারিয়েছি। আমরা যদি আরও ২০ রানের বেশি করতে পারতাম, তাহলে একটা ভালো মোট হবে।”
যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার আগে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ে সিরিজেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ ছিলেন লিটন কুমার দাস। যার কারণে সিরিজের শেষ ম্যাচে তাকে বিশ্রামেও রাখা হয়েছিল। বিশ্বকাপের আগে ফর্মে ফেরাতে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের একাদশে রাখা হলেও নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি লিটন।
তবে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ে সিরিজে স্পোর্টিং উইকেটে খেলতে পারেনি বাংলাদেশ। ফলে ব্যাটারদের সংগ্রাম করতে হচ্ছে বলে মনে করেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে হারের পর শান্ত বলেন, “জিম্বাবুয়ে সিরিজেও আমরা ভালো উইকেটে খেলতে পারিনি, তাই ব্যাটাররা সত্যিই সংগ্রাম করছে। তবে এটা সব মানসিকতার বিষয়, আমি সত্যিই আশা করি, ব্যাটাররা ফর্মে ফিরে আসবে।”
ব্যাটিংয়ের পর বল হাতেও হতাশ করেছেন টাইগার বোলাররা। আইপিএলে বল হাতে প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের কাপন ধরানো মোস্তাফিজুর রহমানকে অনায়াসে খেলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাটাররা। বিপরীতে বল হাতে সবচেয়ে বেশি রান দিয়েছে ফিজ।
বোলিং নিয়ে অধিনায়ক শান্ত বলেন, “আমাদের স্পিনাররা ভালো বোলিং করেছে। শেষ ২-৩ ওভারে আমাদের সিমাররা তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। তবে আমি আশা করি পরের ম্যাচে ওরা (পেস বোলার) ফিরে আসবে।”
ম্যাচটিতে প্রথমে ব্যাট করে ১৫৩ রানের সংগ্রহ গড়েছিল বাংলাদেশ। জবাবে ৩ বল বাকি রেখেই ৫ উইকেটে জয় তুলে নিয়েছে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র। এ জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্বাগতিকরা।