স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ব্যাট হাতে ভালো করতে পারেননি বাংলাদেশের টপ-অর্ডাররা। লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত এবং সাকিব আল হাসানের ব্যর্থতার দিনে ব্যাট হাতে নিজেদের আবারও প্রমাণ করেছেন তাওহিদ হৃদয় এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
বিশ্বকাপের স্বাগতিক দেশ যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৩ রানের সংগ্রহ গড়েছে বাংলাদেশ। দলের পক্ষে ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৫৮ রানের ইনিংস খেলেছেন তাওহিদ হৃদয়।
ম্যাচটিতে সৌম্য সরকারের সাথে ওপেন করতে নামেন লিটন কুমার দাস। শুরুটা ভালো হলেও যুক্তরাষ্ট্রের মতো দলের বিপক্ষে লম্বা টি-টোয়েন্টি ইনিংস খেলতে পারেননি লিটন। দুইবার জীবন পাওয়া এ টাইগার ওপেনার ১৫ বল মোকাবেল করে ১ চার ও ১ ছক্কায় ১৪ রান করেন।
লিটন আউট হওয়ায় দলীয় ৩৪ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙে বাংলাদেশের। এরপর সৌম্য সরকারের সাথে জুটি গড়ে ব্যর্থ হন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে দলীয় কোন রান যোগ হওয়ার আগেই সাজঘরে ফিরেন সৌম্য সরকার। ১৩ বলে ৩ রানে ২০ করেন এ ওপেনার।
দুই উইকেট হারানোর পর হতাশ করেন অধিনায়ক শান্ত। ১১ বলে খেলে ব্যক্তিগত মাত্র ৩ রানে শান্ত আউট হন। ফলে দলীয় ৫১ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শান্তর বিদায়ের কিছুক্ষণ পর ব্যক্তিগত ৬ রানে রান আউটের ফাঁদে পড়েন সাকিব আল হাসান। এতে ১২তম ওভারে ৬৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ।
দলের এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন হৃদয় ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ১৩তম ওভারে হৃদয়ের দুই ছক্কায় ১৬ রান পায় বাংলাদেশ। ১৫তম ওভারে ১শ রান স্পর্শ করে টাইগাররা। ১৭তম ওভারে মাহমুদুল্লাহর ১টি করে চার-ছক্কায় ১৫ রান জমা পড়ে বাংলাদেশের ঝুলিতে।
১৮তম ওভারে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হাফ-সেঞ্চুরির পূর্ণ করেন ৪০ বল খেলা হৃদয়। ১৯তম ওভারের চতুর্থ বলে সৌরভ নেত্রাভালকার শিকার হন ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ২২ বলে ৩১ রান করা মাহমুদউল্লাহ। পঞ্চম উইকেটে হৃদয়-মাহমুদুল্লাহ ৪৭ বলে ৬৭ রানের জুটি গড়েন।
ইনিংসের শেষ ৮ বলে ১৮ রান যোগ করে বাংলাদেশকে লড়াকু পুঁজি এনে দেন হৃদয় ও জাকের আলি। ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৩ রান করে বাংলাদেশ। ইনিংসের শেষ বলে পেসার আলি খানের বলে আউট হওয়ার আগে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪৭ বলে ৫৮ রান করেন হৃদয়। ২টি চারে ৫ বলে অপরাজিত ৯ রান করেন জাকের।
যুক্তরাষ্ট্রের টেইলর ২টি উইকেট শিকার করেন।