স্পোর্টসমেইল২৪
সর্বশেষ ২০০৯ সালের নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। দীর্ঘ ১৫ বছর পর আবারও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতলো অসিরা। টানা দুই জয়ে এক টি-টোয়েন্টি হাতে রেখেই তিন ম্যাচ সিরিজের জয় নিশ্চিত করেছে অস্ট্রেলিয়া।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডকে ৭২ রানে হারিয়ে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। প্যাট কামিন্সের অলরাউন্ড নৈপুন্য ও স্পিনার এডাম জাম্পার বোলিংয়ে জয় তুলে নেয় তারা। সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ৬ উইকেটে জিতেছিল অসিরা।
অকল্যান্ডে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৩ বলে ৩২ রানের সূচনা পায় অস্ট্রেলিয়া। জুটিতে ৭ বলে ১১ রান করে নিউজিল্যান্ডের পেসার লুকি ফার্গুসনের শিকার হন ওপেনার স্টিভেন স্মিথ।
দ্বিতীয় উইকেটে অধিনায়ক মিচেল মার্শকে নিয়ে ২৭ বলে ৫৩ রান যোগ করেন আরেক ওপেনার ট্রাভিস হেড। মারমুখী মেজাজে ২টি চার ও ৫টি ছক্কায় ২২ বলে ৪৫ রান করা হেডকে শিকার করে জুটি ভাঙ্গেন পেসার বেন সিয়ার্স।
হেড ফেরার পর অস্ট্রেলিয়ার মিডল অর্ডারের ব্যাটাররা সুবিধা করতে পারেনি। মার্শ ২৬, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ৬, জশ ইংলিশ ৫, টিম ডেভিড ১৭ ও ম্যাথু ওয়েড ১ রানে আউট হন।
১৩৮ রানে সপ্তম উইকেট পতনের পর অষ্টম উইকেটে ২৮ বলে ৩৩ রান যোগ করে অস্ট্রেলিয়াকে ১৭৪ রানের সংগ্রহ এনে দেন কামিন্স ও নাথান এলিস। ৫টি চারে ২২ বলে ২৮ রান করেন কামিন্স। ১১ রানে অপরাজিত থাকেন এলিস। নিউজিল্যান্ডের ফার্গুসন ১২ রানে ৪ উইকেট নেন।
এই ইনিংসের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ১২৬ ছক্কার রেকর্ড গড়েন ম্যাক্সওয়েল। এতে ভেঙ্গে যায় অ্যারন ফিঞ্চের ১২৫ ছক্কার রেকর্ড।
সিরিজে সমতা ফেরাতে ১৭৫ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে অস্ট্রেলিয়ান পেসারদের তোপে সপ্তম ওভারে ২৯ রানে ৪ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। ফিন অ্যালেন ৬, উইল ইয়ং ৫, অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার ৭ ও মার্ক চাপম্যান ২ রান করেন।
পঞ্চম উইকেটে ৩২ বলে ৪৫ রান যোগ করে নিউজিল্যান্ডকে চাপমুক্ত করেন গ্লেন ফিলিপস ও জশ ক্লার্কসন। দলীয় ৭৪ রানে ক্লার্কসনকে ব্যক্তিগত ১০ রানে আউট করে জুটি ভাঙ্গেন স্পিনার জাম্পা।
এরপর আরও ৩ উইকেট নিয়ে নিউজিল্যান্ডকে ১০২ রানে অলআউট করে অস্ট্রেলিয়ার সিরিজ জয় নিশ্চিত করেন জাম্পা। ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ৩৫ বলে সর্বোচ্চ ৪২ রান করেন। জাম্পা ৩৪ রানে ৪টি ও কামিন্স ১৬ রানে ২ উইকেট নেন। অলরাউন্ড নৈপূন্যের সুবাদে ম্যাচ সেরা হন কামিন্স।