রেকর্ড তো বটেই, সঙ্গে অবিশ্বাস্য, অকল্পনীয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের অলরাউন্ডার ক্রিকেটার আন্দ্রে রাসেল তাই করলেন। কী করেননি তিনি? ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) একই ম্যাচে বল হাতে হ্যাটট্রিক ও ব্যাট হাতে টর্নেডো গতিতে সেঞ্চুরি করেছেন তিনি।
অধিনায়ক রাসেলের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ত্রিনবাগো নাইত রাইডার্সকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে জ্যামাইকা তালাওয়াস। ৪০ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন তিনি। সিপিএলে এটি দ্রুততম সেঞ্চুরি।
পোর্ট অব স্পেনে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ছয় উইকেটে ২২৩ রান সংগ্রহ করে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স। দলের পক্ষে ২৭ বলে ৪৬ রান করেন ক্রিস লিন। ৪২ বলে ৬১ রান করেন কলিন মুনরো। ২৭ বলে ৫৬ রান করেন ব্রেন্ডন ম্যাককলাম। ১৬ বলে ২৯ রান করেন ডোয়াইন ব্রাভো।
জ্যামাইকা তালাওয়াশের পক্ষে অধিনায়ক আন্দ্রে রাসেল তিন ওভার বল করে ৩৮ রান দিয়ে তিনটি উইকেট শিকার করেন। ইনিংসের শেষ ওভারের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ বলে যথাক্রমে ব্রেন্ডন ম্যাককলাম, ডোয়াইন ব্রাভো ও দিনেশ রামদিনকে সাজঘরে ফেরান তিনি। এছাড়া ক্রিসমার সানতোকি ১টি, ইমাদ ওয়াসিম ১টি করে উইকেট শিকার করেন।
Best of the action as Russell leads the fightback #CPL18 #Biggestpartyinsport #TKRvJT pic.twitter.com/ewroXgZi0I
— CPL T20 (@CPL) August 11, 2018
জবাবে জ্যামাইকা তালাওয়াশ ব্যাট করতে নেমে ১৯.৩ ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয়। ২২৫ রান করে তারা। সিপিএলের ইতিহাসে এটি এক ইনিংসে সর্বোচ্চ স্কোর। জ্যামাইকা তালাওয়াশের পক্ষে আন্দ্রে রাসেল ৪৯ বলে ১২১ রান করে অপরাজিত থাকেন। এ রান করার পথে ছয়টি চার ও ১৩টি ছক্কা হাঁকান তিনি। অর্থাৎ ১২১ রানের মধ্যে তার ১০২ রানই আসে বাউন্ডারি থেকে।
এছাড়া ব্যাট হাতে হাফ সেঞ্চুরি করেন কেনার লুইস। ৩৫ বলে ৫১ রান করে আউট হন তিনি। দলীয় ৪১ রানে জ্যামাইকা তালাওয়াশের পঞ্চম উইকেটের পতন হয়। এরপর আন্দ্রে রাসেল ও কেনার লুইস ১৬১ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। দলীয় ২০২ রানে কেনার লুইস আউট হয়ে যান। আন্দ্রে রাসেল ইনিংস শেষে অপরাজিত থাকেন।