রনি-তাসকিন নৈপূণ্যে জয় দিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করলো বাংলাদেশ

স্পোর্টসমেইল২৪ স্পোর্টসমেইল২৪ প্রকাশিত: ০৭:১৯ পিএম, ২৭ মার্চ ২০২৩
রনি-তাসকিন নৈপূণ্যে জয় দিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করলো বাংলাদেশ

ওপেনার রনি তালুকদারের ব্যাটিং ও পেসার তাসকিন আহমেদের বোলিং নৈপূণ্যে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জয় দিয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করলো স্বাগতিক বাংলাদেশ। সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে আয়ারল্যান্ডকে বৃষ্টি আইনে ২২ রানে হারিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। রনি ৩৮ বলে ৬৭ রান করেন। ১৬ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেন তাসকিন।

সোমবার (২৭ মার্চ) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামে স্বাগতিক বাংলাদেশ। দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার লিটন ও রনি। পাওয়ার প্লেতে দলকে ৬ ওভারে ৮১ রান এনে দেন তারা।

নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের এটিই সর্বোচ্চ রান। আগেরটি ছিল ৭৬ রান। ২০১৩ সালে নেপিয়ারে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৬ ওভারে ৪ উইকেটে ৭৬ রান করেছিল বাংলাদেশ।

পাওয়ার প্লেতে লিটন ১৯ বলে ৪০ ও রনি ১৭ বলে ৩৮ রান তুলেন। অষ্টম ওভারের প্রথম বলে লিটনকে শিকার করে বাংলাদেশের বিধ্বংসী উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন পেসার ক্রেইগ ইয়ং। মিড অফের উপর দিয়ে মারতে গিয়ে আয়ারল্যান্ডের অধিনায়ক পল স্টার্লিংকে ক্যাচ দেন লিটন। ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় ২৩ বলে সাজানো তার ৪৭ রানের ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে।

দলীয় ৯১ রানে লিটনের বিদায়ের পর নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন রনি। নবম ওভারের শেষ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। ২৪ বল খেলে ৬টি চার ও ২টি ছয়ে অর্ধশতক করেন রনি। ১১তম ওভারে শান্তকে ১৪ রানে থামিয়ে দেন হ্যারি টেক্টর।

দলীয় রান দেড়শ পার করে আউট হন রনি। ১৪তম ওভারের শেষ বলে মিডিয়াম পেসার গ্রাহাম হুমের বলে বোল্ড হওয়ার আগেম ৭টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৩৮ বলে ৬৭ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন তিনি।

রনির বিদায়ে উইকেটে এসেই দ্রুত রান তুলেন শামীম হোসেন। ২০ বলে ২টি চার ও ১টি ছয়ে ৩০ রান যোগ করে আউট হন তিনি। এরপর পঞ্চম উইকেটে অধিনায়কের সাকিবের সাথে ১৭ বলে ২৯ রান যোগ করেন তাওহিদ হৃদয়। ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে ছক্কা দিয়ে বাংলাদেশের রান ২০০ স্পর্শ করেন হৃদয়।

নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে চতুর্থবারের মত ২শ রানের কোটা স্পর্শ করলো বাংলাদেশ। ৮ বলে ১৩ রান করে ইয়ংয়ের দ্বিতীয় শিকার হন হৃদয়। শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলের পর বৃষ্টিতে বন্ধ হয়ে যায় খেলা। বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় ২০ মিনিট পর ১৯.২ ওভারে ৫ উইকেটে ২০৭ রানেই বাংলাদেশ ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষণা করেন ম্যাচ কর্মকর্তারা।

টি-টোয়েন্টিতে এটি তৃতীয় সর্বোচ্চ রান বাংলাদেশের। ৩টি চারে ১৩ বলে অপরাজিত ২০ রান করেন সাকিব। ৪ রানে অপরাজিত থাকেন মেহেদী হাসান মিরাজ। আয়ারল্যান্ডের ইয়ং ২টি উইকেট নেন। বৃষ্টি আইনে ৮ ওভারে ১০৪ রানের টার্গেট পায় আয়ারল্যান্ড।

ব্যাট হাতে ঝড়ো গতিতে আইরিশ দুই ওপেনার অধিনায়ক পল স্টার্লিং ও রস অ্যাডায়ার ১৬ বলে ৩২ রান তোলেন। অ্যাডায়ারকে ১৩ রানে বোল্ড করে জুটি ভাঙেন পেসার হাসান মাহমুদ। চতুর্থ ওভারে প্রথমবারের মত আক্রমণে এসেই ৩ উইকেট তুলে নেন পেসার তাসকিন। লরকান টাকারকে ১ রানে ও স্টার্লিংকে ১৭ রানে বোল্ড করেন তাসকিন। ডকরেলকে বিদায় করেন খালি হাতে।

শেষ ওভারেও জিততে ৩২ রান দরকার পড়ে আয়ারল্যান্ডের। ওভারে ৯ রান দিয়ে ১ উইকেটে নেন তাসকিন। ৮ ওভারে ৫ উইকেটে ৮১ রান তুলে হারের স্বাদ পায় আয়ারল্যান্ড। ২ ওভারে ১৬ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন তাসকিন। এটিই তাসকিনের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। ২১ রানে অপরাজিত থাকেন ডেলানি।



শেয়ার করুন :