টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করেছিল বাংলাদেশ। তবে শেষ দিকে রান তোলার গতি কমে যায়। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২ উইকেটে ১৫৮ রান। ফলে টাইগারদের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ এড়াতে ইংল্যান্ডের সামনে লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে ১৫৯ রান।
ব্যাট করতে নেমে পাওয়া প্লেতে বিনা উইকেটে ৪৬ রান তুলে বাংলাদেশ। লিটন কুমার দাসের ব্যাট থেকে ২১ এবং রনির ব্যাট থেকে আসে ১৯ রান। যদিও পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারে (৫.৩ ওভার) জীবন পান রনি তালুকদার। সে সময় রনির নামের পাশে ছিল ১৭ রান। আর্চারের বলে সহজ ক্যাচ রেহান আহমেদ ফেলে দিলে বেঁচে যান রনি।
জীবন পেয়েও বেশি দূর যেতে পারেননি রনি তালুকদার। আদিল রশিদের বল রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে বোলারকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন রনি। ২২ বলে ২৪ রান করা রনি ইনিংসে ৩টি চারের মার ছিল। রনি সাজঘরে ফেরায় ৭.৩ ওভারে ৫৫ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙে বাংলাদেশের।
১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১ উিইকেটে ৭৭ রান। ওপেনার লিটন ৪০ রানে এবং নাজমুল হোসেন শান্ত ৫ রানে অপরাজিত ছিলেন।
১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে বাংলাদেশের দলীয় শতরান পূর্ণ হয়। ওই ওভারের পঞ্চম বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ৯ম ফিফটি তুলে নেন লিটন। ফিফটি করার পরের ওভারে আর্চারের বলে জীবন পান লিটন।
লিটন-শান্তর দুর্দান্ত ব্যাটিং ১৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৩১ রান। লিটন ৭১ রানে এবং শান্ত ২৮ রান নিয়ে ব্যাট করছিলেন। এ সময় তাদের জুটি থেকে আসে ৭৬ রান।
ক্যারিয়ারে নবম টি-টোয়েন্টির ম্যাচে সেঞ্চুরির করার দারুণ সুযোগ ছিল ওপেনার লিটন কুমার দাসের। তবে সেটি আর হয়নি। ক্রিস জর্ডানের বলে মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে ৭৩ রানে ফিরেন লিটন। ৫৭ বলে টি-টোয়েন্টি সর্বোচ্চ্ ব্যক্তিগত সংগ্রহের পথে ১০টি চার ও একটি ছক্কা মারেন তিনি।
লিটন চলে যাওয়ায় ১৭তম ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৩৯ রান। উইকেটে শান্তর সাথে ব্যাট হাতে উইকেটে জুটি গড়েন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
শেষ ৩ ওভারে আগের ধারায় ব্যাট করতে পারেনি বাংলাদেশ। ১৮ বলে দলীয় সংগ্রহে যোগ হয় ১৯ রান। ফলে ২০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২ উইকেটে ১৫৮ রান। ব্যাট হাতে ৩৬ বলে ৪৭ এবং ৬ বলে ৪ রানে অপাজিত ছিলেন শান্ত।
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস