তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে সফরকারী ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার মিশনে টস হেরেছে বাংলাদেশ। আগেই সিরিজ জয় করায় এ ম্যাচে বাংলাদেশ একাদশে দুটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। তানভির ইসলামের অভিষেক ছাড়াও একাদশে ফিরেছন শামীম হোসেন পাটোয়ারী।
ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে হারলেও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে নেমেই সিরিজ জয় করেছে বাংলাদেশ। দিন ম্যাচ সিরিজে বাংলাদেশের সামনে এখন ইংলিশদের হোয়াইটওয়াশ করার দারুণ সুযোগ।
সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ যথাক্রমে ছয় ও চার উইকেটে জিতে ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশের সুযোগ তৈরি করেছে বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে যেকোন ফরম্যাটে প্রথম দ্বিপাক্ষীক সিরিজ জয়ের স্বাদ নিয়েছে বাংলাদেশ।
প্রথম ম্যাচে আধিপত্য বিস্তার করে জয়ের স্বাদ নিলেও দ্বিতীয় ম্যাচে লড়াই করে জিততে হয়েছে বাংলাদেশকে। অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের লক্ষ্য অনুযায়ী ২০২৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য শক্তিশালী দল গঠনে বাংলাদেশ যে সঠিক পথে আছে সেটি বেশ ভালোভাবে ফুটে উঠেছে।
এদিকে, নতুন কোচ হাথুরুসিংহে আসার পর বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দল নিয়ে শুরু হয়েছে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা। তারই ধারাবাহিকতায় সিরিজের শেষ ম্যাচ দুটি পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অভিষেক করানো হয়েছে তানভির ইসলামকে। এছাড়া আগের ম্যাচে না খেলানো শামীম পটোয়ারীকেও ফেরানো হয়েছে।
তাদের দুজনকে একদাশে অন্তর্ভুক্ত করতে গিয়ে আফিফ হোসেন ধ্রুব এবং নাসুম আহমেদকে একাদশের বাইরে রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ একাদশে পরিবর্তন আনা হলেও ইংল্যান্ড একাদশে কোন পরিবর্তন আনা হয়নি। এমনকি সিরিজ চলাকালীন ইনজুরিতে পড়া উইল জ্যাকসের বদলি হিসেবেও কাউকে দলে নেয়নি ইংল্যান্ড। এছাড়াও স্কোয়াডে কোন খেলোয়াড়ও যুক্ত করেন তারা। এখন তাদের স্কোয়াডে আছে মাত্র ১৩ জন খেলোয়াড়। সেখান থেকেই একাদশ নিয়ে খেলছে তারা।
বাংলাদেশ একাদশ
সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), লিটন কুমার দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, শামীম হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, তানভির ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজ, রনি তালুকদার, তৌহিদ হৃদয়।
ইংল্যান্ড একাদশ
জস বাটলার (অধিনায়ক), মইন আলি, জফ্রা আর্চার, স্যাম কারান, বেন ডাকেট, ক্রিস জর্ডান, দাভিদ মালান, আদিল রশিদ, ফিল সল্ট, ক্রিস ওকস, রেহান আহমেদ।