টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে ২০২৪ সালে। পরের বিশ্বকাপটি হবে ওয়েষ্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে। তবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে শুরু হচ্ছে ২০২৪ বিশ্বকাপে প্রস্তুতি যাত্রা। দ্বিতীয় দফায় বাংলাদেশের কোচ হয়ে এসেছেন, চন্দিকা হাথুরুসিংহে। এই সিরিজটি হাথুরুসিংহের জন্য পর্যবেক্ষণেরও।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হওয়ার আগে বুধবার সংবাদ সম্মেলনে প্রধান কোচ বলেন, ‘‘আমি আজ প্রথম টি-টোয়েন্টি দলটাকে দেখলাম। এটা শুধু ২০২৪ বিশ্বকাপকে লক্ষ্যে করে যাত্রা শুরু হল। এই সময়ের মধ্যে আমাদের অনেক কাজ করতে হবে। আবারও পর্যবেক্ষণের সময় যে আমাদের আবস্থা কেমন আছে। এই সময়ের মধ্যে আমাদের খেলোয়াড়রা কতোটা উন্নতি করতে হবে। আমাদের শক্তিও বা কোথায়, সেগুলো দেখে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।”
অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। বিশ্বকাপের পর এটাই বাংলাদেশের প্রথম টি-টোয়েন্টি সিরিজ। চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে সিরিজটি কঠিন চ্যালেঞ্জ কিনা জানতে চাইলে কোচ বলেন, “এটা কঠিন বলে আমি চিন্তা করছি না। এটা বিশ্বকাপের জন্য আমাদের প্রস্তুতি র ভালো সুযোগ। সামনের বিশ্বকাপ হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে। দু’দেশের কন্ডিশন সম্পর্কে আমাদের ধারণা খুবই কম। তাই একটু চ্যালেঞ্জিং হবে। তবে একই সঙ্গে এটা সবার জন্য একটা সুযোগও।”
বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে শক্তির কোন জায়গায় পিছিয়ে সেটাও দেখতে চান হাথুরু। তিনি বলেন, “আমরা আমাদের শক্তি নিয়ে খেলবো। একই সঙ্গে দেখার চেষ্টা করবো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ও আমাদের মধ্যে পার্থক্য কোথায়।”
এদিকে, এ সিরিজে পঞ্চপান্ডবের একমাত্র সাকিব আল হাসানই থাকছেন। বাকিদের সময় শেষ। সামনের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও সাকিবকে নিয়েই হয়তো পরিকল্পনা সাঁজাবেন কোচ। তবে সিনিয়ররা থাকা না থাকা কোনো ব্যাপার হাথুরুর কাছে।
বাংলাদেশ দলের কোচ বলেন, ‘‘দলের স্পিরিট খুবই ভালো। সিনিয়র থাকলো কি থাকলো না সেটা কোনো বিষয় না।”
রানের খেলা টি-টোয়েন্টি ভালো কিছু করতে চায় স্বাগতিকরা। হাথুরুসিংহে বলেন, ‘এই ফরম্যাটের সবাই রান পছন্দ করে। এটাই বিনোদোন। বিনোদন দিতে হলে রান করতেই হবে। বোলাররা ভালো করতে সেটা আলাদা ব্যাপার। স্পন্সর থেকে শুরু করে সবাই রানই পছন্দ করে। আমরাও সেটাই করার চেষ্টা করবো।”
স্পোর্টসমেইল২৪/জেএম