অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে হেরে সুযোগ হারিয়েছিল পাকিস্তান। ম্যাচে চোট পেয়ে বেরিয়ে যান দলের সেরা বোলার শাহিন শাহ আফ্রিদি। ওই ম্যাচে ২.১ ওভার বোলিং করে ১৩ রান দিয়ে এক উইকেট নেন আফ্রিদি। দ্বিতীয় স্পেলে এক বল করার পরই চোট পেয়ে উঠে যান শাহিন।
এক ওভার আগে ওই ম্যাচ জিতে নেয় ই্ংল্যান্ড।
হাঁটুর চোটে শেষ বেলায় বোলিং না করতে পারায় এখন শাহিন শাহ'র সমালোচনা করলেন সাবেক ডানহাতি পেসার শোয়েব আখতার। আর জামাইয়ের সমালোচনা করায় পাল্টা জবাব দিলেন সাবেক অধিনায়ক, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচক ও শাহিন শাহ'র শ্বশুড় শহিদ আফ্রিদি।
আখতার বলেছিলেন, ‘‘খেলার সময় আমি যদি পড়ে যেতাম, হাঁটু যদি ভেঙে যেত, তা হলেও খেলতাম। মুখ দিয়ে রক্ত বেরোলেও উঠে দাঁড়াতাম। ইনজেকশন নিয়ে আবার বোলিং শুরু করতাম।"
তিনি বলেন, ‘‘অনেকেই বলতে পারে, এভাবে খেললে হাঁটুর বড় ক্ষতি হবে। জীবন বিপন্ন হতে পারে। কিন্তু আমি বলব, হাঁটু ভেঙে গেলে যাক। বিশ্বকাপ অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এমন মুহূর্ত বার বার আসে না।’’ এক সময়ে বিশ্বের সবচেয়ে গতিময় বোলার ছিলেন আখতার। প্রতিপক্ষের ব্যাটিং লাইনআপে কাপন ধরিয়ে দিতেন তিনি।
শাহিন শাহ এখন পাকিস্তানের এক নম্বর বোলার। কিছুদিন আগে শহিদ আফ্রিদির জামাইও হয়েছেন। জামাইকে নিয়ে সমালোচনার জবাব দিয়েছেন শহিদও। তিনি বলেন , ‘‘শোয়েব খেলোয়াড় জীবনে এত ইনজেকশন নিয়েছিল যে এখন ভালো করে হাঁটতেও পারে না। এটাই তার মান।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘শোয়েব আখতার, শোয়েব আখতারই। সে-ই শুধু এ রকম করতে পারে। এ ভাবে খেলা খুব কঠিন। সবাই শোয়েব হয় না। চোট নিয়ে খেলা অত্যন্ত ঝুঁকির। ইনজেকশন বা ব্যথা কমানোর ওষুধ নিয়ে খেললে আরও বড় চোট লাগার সম্ভাবনা থাকে। যাই হোক, শোয়েবকে একটু একা থাকতে দিন।’’
মেলবোর্নে টি -টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে শাহিন শাহ শেষ দুই ওভার বোলিং করতে পারলে পাকিস্তান জিতেও যেতে পারতো।
স্পোর্টসমেইল২৪/জেএম