ওয়ানডে ক্রিকেটে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেই নিজের জাত চিনিয়েছেন শুবমান গিল। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) দারুন ধারাবাহিকতা দেখিয়ে যান এই ডানহাতি ব্যাটার। জানুয়ারীর ৩ তারিখে শ্রীলংকার বিপক্ষে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হওয়ার গিল এক মাসের মধ্যে দেখালেন এই ফরম্যাটে নিজের সক্ষমতা। ১ ফেব্রুয়ারী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তুলে নিলেন ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি।
বুধবার আহমেদাবাদে মাত্র ৬৩ বলে সাত ছক্কা ও ১২ চারে সাজানো ইনিংসে গিল করেন ১২৬* রান। তার ব্যাটিংয়ে ভর করে ভারত চার উইকেটে ২৩৪ রানের পাহাড় গড়ে। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে জবাবে গিলের রানও করতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। তারা অলআউট হয়েছে মাত্র ৬৬ রানে!
১৬৮ রানের বিশাল জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ স্বাগতিক ভারত জিতে নিল ২-১ এ। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে রানের ব্যবধানে এটি অষ্টম বড় জয়। তবে টেস্ট খেলাড়– কিংবা র্যাংকিংয়ের শীর্ষ ১৫ দলের হিসাবে এটি দ্বিতীয় বড় জয়।
অথচ ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ইশান কিশানকে হারায় ভারত। এরপরই রাহুল ত্রিপাথিকে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে ৮০ রান করে ফেলেন গিল। রাহুল ২২ বলে ৪৪ করে ইশ সোদির বলে আউট হন। এরপর সূর্যকুমার যাদব এসেই ঝড় তোলার আভাস দিয়ে ইনিংসটা লম্বা করতে পারেননি। ১৩ বলে ২৪ করে ফেরেন তিনি।
এক পাশে তখনও তান্ডব চালিয়ে যান গিল। ৯৭ রান থেকে লকি ফার্গুসনকে চার মেরে তিন অংকের ঘরে পৌছান তিনি। পরের বলেই হাঁকান ছক্কা। এরপরের বলে জীবন পেয়ে আরও আক্রমণাত্বক হয়ে যান ২৩ বছর বয়সী এই ব্যাটার। শেষ ওভারে গিল ব্যাটে-বলে সংযোগ করতে পারেননি সেভাবে। ওই ওভার থেকে আসে মাত্র ছয় রান। তবুও ভারতের স্কোর হয়ে যায় ২৩৪। অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া তার আগে ১৭ বলে ৩০ করে আউট হন।
জবাব দিতে নেমে হার্দিক ও আরশদীপের বোলিং তোপে পড়ে কিউইরা। সাত রানে চার উইকেট হারানো দলটি শেষ পর্যন্ত করতে পারে ৬৬। তাতে ড্যারি মিচেলের রয়েছে ৩৫ রান। এছাড়া মিচেল স্যান্টনার (১৩) পৌছাতে পারেন দুই অংকে। চার ব্যাটার রানের খাতা খুলতে পারেননি।
স্পোর্টসমেইল২৪/জেএম