ওপেনার লিটন দাসের ঝড়ো ইনিংসের পরও ভারতের কাছে মাত্র ৫ রানের ব্যবধানে হারতে হলো বাংলাদেশকে। ভারতের কাছে এ হারে সেমি-ফাইনালের স্বপ্ন থেকে কার্যতয ছিটকে পড়লো টাইগাররা।
বুধবার (২ নভেম্বর) টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। ফলে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৮৪ রানের সংগ্রহ গড়ে। জয়ের জন্য ১৮৫ রানের টার্গেটে ওপেনার হিসেবে ইনিংস শুরু করে ভারতীয় বোলারদের বিপক্ষে ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছেন লিটন।
ষষ্ঠ ওভারের দ্বিতীয় বলে ছক্কায় মুখোমুখি হওয়া ২১তম বলে টি-টোয়েন্টিতে অষ্টম হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন লিটন। লিটন ঝড়ে পাওয়ার-প্লেতে ৬০ রান তুলে বাংলাদেশ। এ সময় আরেক ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত ১২ বলে ৪ রানে দাঁড়িয়ে।
৭ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান বিনা উইকেটে ৬৬। এরপর বৃষ্টিতে বন্ধ হয় খেলা। বৃষ্টি আইনে এ সময় ১৭ রানে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। ৪০ মিনিট পর খেলা শুরু হলে বৃষ্টি আইনে ১৬ ওভারে ১৫১ রানের নতুন টার্গেট পায় বাংলাদেশ। অর্থাৎ ১০ উইকেট হাতে নিয়ে ৯ ওভারে ৮৫ রান করতে হবে টাইগারদের।
খেলার শুরু পর দ্বিতীয় বলে রান আউট হন লিটন। ডিপ মিড উইকেট থেকে রাহুলের সরাসরি থ্রোতে লিটনের দুর্দান্ত ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে। আউট হওয়ার আগে ৭টি চার ও ৩টি ছক্কায় ২৭ বলে ২২২ স্ট্রাইক রেটে ৬০ রান করেন লিটন।
দলীয় ৬৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। লিটনের বিদায়ের ওভারে খোলস থেকে বেড়িয়ে প্রথম বাউন্ডারি মারেন শান্ত। পরের ওভারে ছক্কাও মারেন শান্ত। দশম ওভারে সামির প্রথম বলে লং-অনে সূর্যকে ক্যাচ দিয়ে থামেন ২৫ বলে ২১ রান করাশান্ত।
অশ্বিনের করা ১১তম ওভারে সাকিবের ২টি চারে ১১ রান পায় বাংলাদেশ। ৮ উইকেট হাতে নিয়ে শেষ ৫ ওভারে টাইগারদের সামনে জয়ের সমীকরণ ৫২ রান।
১২তম ওভারে দ্বিতীয়বারের মতো বোলিংয়ে এসে আফিফ-সাকিবকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান অর্শদ্বীপ। দু’জনই ছক্কা মারতে গিয়ে আকাশে বল তুলে দিয়ে ক্যাচ আউট হন। আফিফ ৫ বলে ৩ ও সাকিব ২টি চারে ১২ বলে করেন ১৩ রান।
আর্শদ্বীপের জোড়া আঘাতের সাথে তাল মিলিয়ে ১৩তম ওভারে দ্বিতীয়বারের মতো বল করতে এসে ২ উইকেট তুলে নেন পান্ডিয়াও। ইয়াসিরকে ১ ও মোসাদ্দেককে ৬ রানে বিদায় করেন পান্ডিয়া। ১২ ও ১৩তম ওভারে ৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে বাংলাদেশ।
এরপর ১৪তম ওভারে ১২ ও ১৫তম ওভারে ১১ রান পায় বাংলাদেশ। এ সময় নুরুল ১টি চার ও তাসকিন ১টি চার-ছয় মারেন। শেষ ওভারে ২০ রানের সমীকরণ নামিয়ে আনেন তারা। এমন অবস্থায় অর্শদ্বীপের প্রথম বলে ১ রান আসার পর দ্বিতীয় বলে ছক্কা মারেন নুরুল। পরের দুই বলে ২ রান নেন নুুরুল।
পঞ্চম বলে চার মারেন নুরুল। ম্যাচ টাই’র জন্য শেষ বলে ছক্কার দরকার ছিল। শেষ বলে ১ রান নিতে পারেন নুরুল। শেষ পর্যন্ত ১৬ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪৫ রান করে ম্যাচ হারে বাংলাদেশ।
২টি চার ও ১টি ছক্কায় ১৪ বলে ২৫ রানে অপরাজিত থাকেন নুরুল। ৭ বলে ১টি করে চার-ছক্কায় ১২ রানে অপরাজিত থাকেন তাসকিন। ভারতের অর্শদ্বীপ ৩৮ রানে ও পান্ডিয়া ২৮ রানে ২ উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হয়েছেন বিরাট কোহলি।
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস