বিশ্বকাপে খেলার পথে এক মাত্র বাধা ছিল স্কটল্যান্ড। সেমিফাইনালে সেও বাধাও ভেঙে ফেললো বাংলার মেয়েরা। এশিয়া কাপ জয়ের পর এবার নারীদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্য অর্জন করলো সালমারা। এ অর্জন বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসে আরও একটি গৌরব বযে আনলো।
নেদারল্যান্ডসের আমস্টালভিনে ভিআরএ গ্রাউন্ডে নারী বোলারদের সাঁড়াশি বোলিংয়ে স্কটল্যান্ডকে ৪৯ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। আর এ ফাইনালে ওঠার সঙ্গে বিশ্বকাপের টিকিটও নিশ্চিত হয়ে গেছে বাংলাদেশের নারীদের।
ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানায় স্কটল্যান্ড। ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১২৬ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। ৩৬ বলে সর্বোচ্চ অপরাজিত ৩১ রান করেন নিগার সুলতানা। ১৬ বলে ২২ রান করেন ওপেনার শামীমা সুলতানা। ২৭ বলে ২০ রান করেন আয়েশা রহমান। ১৮ বলে ১৯ রান করেন সানজিদা ইসলাম এবং ১৬ বলে ১৫ রান করেন ফাহিমা খাতুন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে স্কটল্যান্ড ওপেনার সারাহ ব্রুইস ৩১ রান করেন। ২২ বলে ২১ রান করেন অধিনায়ক কেথেরিন ব্রুইস। এছাড়া বাকি ব্যাটসম্যানরা আর দাঁড়াতেই পারেননি বাংলাদেশের বোলারদের সামনে।
ক্যাথরিন আউট হওয়ার পরের দুই বলেই আরও দুই ব্যাটার আউট হতেই ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে স্কটল্যান্ড। ১ উইকেটে ৫১ রান নিয়ে ১৩তম ওভার শুরু করা স্কটিশরা ১৬তম ওভারের প্রথম বলে ৬৫/৭। শেষ ৫ ওভারে মাত্র ১১ রান করে শেষ পর্যন্ত ৪৯ রানে হেরে যায় স্কটল্যান্ড। বাংলাদেশ ওঠে যায় ফাইনালে।
৪ ওভারে ১০ রান দিয়ে ম্যাচ ২ উইকেট সেরা হয়েছেন রুমানা আহমেদ। এছাড়া ২ উইকেট করে নেন নাহিদা আক্তার এবং রুমানা আহমেদ। ১ উইকেট করে নেন সালমা খাতুন এবং ফাহিমা খাতুন।
বিশ্ব নারী টি-টোয়েন্টি বাছাইপর্বে এখন চ্যাম্পিয়নের মুকুট পরার সামনে বাংলাদেশ। আগামী ১৪ জুলাই ফাইনালে আয়ারল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। গতবার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ফাইনালে আইরিশদের কাছেই হেরেছিল বাংলাদেশ। এবার সুযোগ নিজেদের নতুন উচ্চতায় নেয়ার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
বাংলাদেশ : ২০ ওভারে ১২৫/৬ (শামিমা ২২, আয়েশা ২০, নিগার ৩১*, ফাহিমা ১৫, সানজিদা ১৯; প্রিয়ানাজ ২/১৭, ক্যাথরিন ১/১৫, আবতাহা ১/২০, ম্যাকগিল ১/২৯)।
স্কটলান্ড : ২০ ওভারে ৭৬/৭ (সারা ৩১, ক্যাথরিন ২১; জাহানারা ৩-০-৪-০, সালমা ৪-০-১৭-১, নাহিদা ৪-০-১৬-২)।
ফল : বাংলাদেশ ৪৯ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : রুমানা আহমেদ (বাংলাদেশ)।