শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১৬। বোলিংয়ে আসেন আগের তিন ওভারে ২৭ দেওয়া মোসাদ্দেক হোসেন। দ্বিতীয় বলে ইভান্স ফেরেন বাউন্ডারি লাইনে। তৃতীয় বলে লেগ বাই থেকে চারের পর ক্রিজে এসে এনগারাভা ছয় হাঁকিয়ে আরও সহজ করে দেন। পরের বলেই স্টাম্পিং তিনি। নাটকে ভরা শেষ ওভারে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশকে জয় উপহার দেন মোসাদ্দেক হোসেন।
বাংলাদেশ অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক বলেন, ‘এটা অবশ্যই অন্যরকম একটা অভিজ্ঞতা সবার জন্যই। তো আসলে যখন আমরা আসলাম আবার ভেতরে গেলাম, সবাই নার্ভটা কন্ট্রোল করার চেষ্টা করছিল। ঠিক আছে যাই হবে। আমাদের যে প্লান ছিল ঐ প্লান অনুযায়ী বোলিং করি, এরপরে যদি ওরা মাইরে নিতে পারে সেট ঠিক আছে। এটা নিয়ে আমরা কোনো চিন্তা করিনা।’
মোসাদ্দেক বলেন, ‘একটা বলও জেদ দিয়ে করি নাই, প্রত্যেকটা বল ডট বল করার জন্য জন্য। জিতার জন্য সবার মধ্যে একটা ক্ষুধার্ত ছিল। অবশ্যই সবাই জিততে চাইছে। সেই চেষ্টা এবং শারীরিক অঙ্গভঙ্গি সবাই মাঠে শো করছে। আমি মনে করি যে অবশ্যই পুরা দলের কম্বিনেশন বলেন পুরা টিমের চেষ্টা ছিল আমাদের জেতার পিছনে। সো ফাইনালি জিতছি।’
তিনি বলেন, ‘না অবশ্যই এটা ক্রিকেট খেলা যে কোনো কিছু হতে পারে। ছয় ও হতে পারতো চার ও হতে পারতো। বাট নার্ভ কন্ট্রোল করাটা সেটা আমি সাকিব ভাইয়ের সাথে কথা বলতেছিলাম। ওনার সাথে আমার যে কথা হয়েছে এরপরে আমি কন্ট্রোলে ছিলাম।
সাকিব ভাইয়ের কথা হয়েছিল দুই রকম। ইয়োর্কার করবো না কি লেন্থ বল করবো। সো মাঠ টা ছোট ছিল সামনের দিকে ইয়োর্কার মিস হলে লেন্থ মিসে ৬ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এজন্য আমরা প্লান করছিলাম যে একটু ব্যাক অব লেন্থে, একটু জোরের উপর করব, যেন মিস টাইমিং হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।’
জিম্বাবুয়ের সাথে রোমাঞ্চকর ম্যাচ জয়ের ফলে ৩ ম্যাচে ২ জয় নিয়ে পয়েন্ট তালিকার ২য় স্থানে আছেন টিম টাইগাররা।
স্পোর্টসমেইল২৪/আরআইএম