বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ দলের বেশ কিছু পজিশন নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছেন টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট শ্রীধরন শ্রীরাম। যার মধ্যে অন্যতম ছিল ওপেনিং জুটি। যেখানে ব্যাট হাতের দলের ওপেনিং জুটিতে প্রতিনিধিত্ব করছেন নাজমুল হাসান শান্ত এবং সৌম্য সরকার। বিশ্বকাপে খেলা দুই ম্যাচে তাদের পারফর্ম্যান্স নিয়ে সন্তুষ্ট শ্রীরাম।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচের প্রতিপক্ষ ছিল নেদারল্যান্ড। জয় পাওয়া ওই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে সৌম্য-শান্তর ওপেনিং জুটি থেকে ৪৩ রান পায় বাংলাদেশ। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলে সৌম্য আউট হলে তাদের জুটি ভাঙে। ১৪ বলে ২টি চারের মারে ১৪ রান করেন সৌম্য। এছাড়া ২০ বলের ইনিংসে ৪টি চারের মারে ২৫ রান করেন শান্ত।
প্রথম ম্যাচে ওপেনিং জুটি থেকে বাংলাদেশ ৪৩ রান পেলেও দ্বিতীয় ম্যাচে তেমনটা হয়নি। দক্ষিণ আফ্রিকার করা ২০৫ রানের বিপরীতে ব্যাট করতে নেমে ওপেনিং জুটি থেকে ২৬ রান পায় বাংলাদেশ। উড়ন্ত শুরু করার পর সৌম্য সরকার আউট হলে ওপেনিং জুটি ভাঙে টাইগারদের। ৬ বলে ১৫ রানে সৌম্য চলে যাওয়ার পর ৯ বলে ৯ রান করে সাজঘরে ফিরেন শান্ত।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের ওপেনিং জুটি নিয়ে শ্রীধরন শ্রীরাম বলেন, “আমার মতে এটা ভালো। আমরা প্রথম খেলায় ৪৩ পেয়েছিলাম, এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই ওভারে বিনা উইকেটে ২৬ রান করেছি। ওপেনিং জুটিকে স্থির দেখা যাচ্ছে।”
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে শনিবার (২৯ অক্টোবর) সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়ে এসব কথা বলেন শ্রীরাম।
তিনি বলেন, “আমি মনে করি এটি তাদের (সৌম্য-শান্ত) আরও বেশি খেলার সময়, এতে তারা আরও অভিজ্ঞতা পাবে। তারা যত বেশি একসাথে খেলবে, বিভিন্ন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে যত বেশি খেলবে, তারা আরও তত শিখবে।”
দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্ট ডি কক এবং রাইলি রুশোর উদাহরণ টেনে শ্রীরাম আরও বলেন, “কুইন্টন ডি কক এবং রাইলি রুশোর মতো খুব ভালো খেলোয়াড়রা তেমনটাই করে। আমি মনে করি, শান্ত এবং সৌম্য উভয়ের জন্য এটি একটি শেখার প্রক্রিয়া এবং আমি মনে করি, তারা এটি করবে।”
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস