সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ১০৪ রানে পরাজিত হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। রান বিবেচনায় এটি টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ব্যবধানের হার। তবে এমন হারেও হতাশ নন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। টাইগার অধিনায়কের মতে, এটা খুবই স্বাভাবিক এবং অস্বাভাবিক কিছু না।
কিছুদিন আগেই একই ভেন্যুতে নিউজিল্যান্ডের কাছে বড় ব্যবধানে হেরেছিলো অস্ট্রেলিয়া। সাকিব জানান, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এমন ফলাফল অস্বাভাবিক নয়।
সাকিব বলেন, “অস্ট্রেলিয়াও এখানে নিউজিল্যান্ডের কাছে বড় ব্যবধানে হেরেছিল। টি-টোয়েন্টি ম্যাচে এমনটাই হয়। এটা খুবই স্বাভাবিক এবং অস্বাভাবিক কিছু না। এ খেলাটি খুবই উত্তেজনাপূর্ণ ও বিনোদনমূলক। মাঝে-মাঝে আপনাকে এ ধরনের বড় ধাক্কা সইতে হয়।”
অস্ট্রেলিয়ার জন্য সেটি ছিল একটি অঘটন। ১শর বেশি রানে এর আগে মাত্র একবার হেরেছিল বাংলাদেশ। ২০০৮ সালে করাচিতে পাকিস্তানের কাছে ১০০র বেশি রানে হেরেছিল টাইগাররা।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে রাইলি রুশো এবং কুইন্টন ডি কক ব্যাট হাতে জ্বলে উঠেন। পরে বল হাতে এনরিচ নর্টি এবং তাবরাইজ শামসি দারুণ নৈপুণ্যে টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের সবচেয়ে বড় হারের স্বাদ পায় বাংলাদেশ। এমন ফলাফলকে স্বাভাবিকভাবেই দেখছেন সাকিব।
২০৬ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ইনিংসের ২১ বল বাকি থাকতে মাত্র ১০১ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। বল হাতে নিষ্প্রভ ছিলেন সাকিব, তাসকিন, মিরাজরা। পরে ব্যাটিংয়ে লিটন দাস ছাড়া কেউ বলার মতো স্কোর করতে পারেননি। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেন লিটন।
বাংলাদেশের এমন পারফরমেন্স নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও এটি নিয়ে চিন্তা করতে নারাজ সাকিব। ব্যাটারদের ঘুরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন এ অলরাউন্ডার।
সাকিব বলেন, “আমাদের ব্যাটিংয়ে আরও উন্নতি করতে হবে। বাউন্স ও পেস সামলাতে হবে। আমরা যদি প্রথম ১০ ওভারে ভালো ব্যাট করি, উইকেট ধরে রাখতে পারি তবে শেষ পর্যন্ত ব্যাট করা সহজ হয়ে যাবে।”
তিনি আরও বলেন, “এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে তেমনই দেখেছি। যে দলগুলো উইকেট ধরে রাখতে পারছে শেষ ১০ ওভাওে তারা বড় রান তুলতে পারছে।”
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস