ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে পাকিস্তানের পর দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে হারলো বাংলাদেশ। দুই ম্যাচেই ব্যাটারদের ব্যর্থতা চোখে পড়ার মত ছিল। টি-টোয়েন্টির মতো আক্রমনাত্মক ব্যাটিংই করতে পারছে না বাংলাদেশের ব্যাটাররা। নিউজিল্যান্ডের কাছে ৮ উইকেটে ম্যাচ হারের পর বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বললেন, ব্যাটিংয়ে আরও উন্নতি প্রয়োজন।
পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ১৬৮ রানের টার্গেটে ১০১ রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ হারের পথে ছিটকে পড়ে বাংলাদেশ। টপ-অর্ডারের কোন ব্যাটারই দ্রুত রান তুলতে পারা বা বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। তারপরও পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের শেষ দিকে ইয়াসির আলির ২১ বলে অপরাজিত ৪২ রানে বড় হারের লজ্জা থেকে বাঁচে বাংলাদেশ।
পাকিস্তানের পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচেও ব্যর্থ বাংলাদেশের টপ-অর্ডার। এ ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করেও চাপ নিতে পারেনি তারা। ১১০ রানে ৭ উইকেট নেই টাইগারদের।
এবার শেষ দিকে নুরুল হাসান সোহানের ১২ বলে ২৫ রানের কল্যাণে সম্মানজনক স্কোর পায় বাংলাদেশ। পুরো ইনিংসে সব মিলিয়ে ১০টি চার ও ২টি ছক্কা ছিল। তবে সর্বমোট ৫০টি ডট বল ছিল বাংলাদেশের ইনিংসে।
নিউজিল্যান্ডের কাছে হারের পর ব্যাটিংয়ে আরও উন্নতি চান অধিনায়ক সাকিব। ম্যাচ শেষে সাকিব বলেন, ‘ব্যাটিং এমন একটি জায়গা যেখানে আমাদের উন্নতির সুযোগ রয়েছে এবং এ জায়গাটা নিয়ে কাজ করতে হবে।’
টপ-অর্ডারের কাছ থেকে বড় ইনিংসের প্রত্যাশা সাকিবের। বলেন, ‘এই উইকেটে নিউজিল্যান্ডের স্পিনাররা ভালো বল করেছে। আমরা ভালো শুরু করেছিলাম কিন্তু তাদের মানসম্পন্ন স্পিনারদের সামলাতে পারিনি আমরা। আমাদের উপরের তিন ব্যাটারকে পারফর্ম করতে হবে এবং ১৫-১৬ ওভার পর্যন্ত ব্যাট করতে হবে।’
এ ম্যাচে সাত নম্বরে ব্যাট হাতে নামেন অধিনায়ক সাকিব। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এ নিয়ে তৃতীয়বার সাত নম্বরে তিনি। আগের দু’বারে ১৪ রান করেছেন সাকিব। এবারও সাত নম্বরে নেমে বড় ইনিংস খেলতে পারেননি সাকিব। অন্যান্যদের মতো ব্যর্থতার কাতারে থেকে ১৬ বলে ১৬ রান করেন তিনি।
নিজের ব্যাটিং পজিশন নিয়ে সাকিব বলেন, ‘আমি উপরে ব্যাট করতে পারতাম কিন্তু তাদের দু’জন স্পিনার বোলিং করছিল এবং আমাদের বাঁহাতি-ডানহাতি কম্বিনেশন ধরে রাখার দরকার ছিল।’
টানা দুই ম্যাচ হেরে বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাসে চিড় ধড়াই স্বাভাবিক। সামনে বিশ্বকাপ থাকায়, আত্মবিশ্বাসী থাকা কঠিন বলে মনে করেন সাকিব। সিরিজের বাকি দুই ম্যাচে খেলা কঠিন হবে বলে মনে করেন তিনি।
সাকিব বলেন, ‘যখন আপনি দুই ম্যাচ হেরে যাবেন চাঙ্গা থাকা কঠিন। কিন্তু বিশ্বকাপ সামনে। সামনের দুই ম্যাচ আমাদের জন্য কঠিন হতে চলেছে।’
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস