টি-টোয়েন্টিতে অভিজ্ঞদের ছাটাই করে তরুণদের নিয়ে দল সাজাতে চাইছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তার অংশ হিসেবে চলতি ত্রিদেশীয় সিরিজ ও আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে রাখা হয়নি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে। মুশফিকুর রহিমকেও বাদ দেওয়ার গুঞ্জন থাকলেও, তার আগেই অবসর নিয়েছেন তিনি।
ফলে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ছাড়া বাংলাদেশের পুরো দলটাই এখনো তারুণ্য নির্ভর। তবে বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল খান মনে করেন, বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে রিয়াদ ও মুশির মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটার থাকলে ভালো হতো।
তামিম বলেন, “আমি আগেও বলেছি মুশফিক-রিয়াদ এরা যদি ওয়ার্ল্ড কাপের বড় স্টেজে থাকতো আমার কাছে এটা অবশ্যই ভালো মনে হতো।”
পুরো বছর তাদের খেলানোর পর বিশ্বকাপের আগে বাদ দেওয়া নিয়ে পরোক্ষভাবে বোর্ডের দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন তামিম। "আপনি সারা বছর যখন সিনিয়র ক্রিকেটারকে ক্যারি করেছেন, তাহলে বিশ্বকাপের আগেই কেন?(বাদ দেওয়া) পুরো বছর যদি না হতো তাহলে ঠিক আছে” যোগ করেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক।
বাংলাদেশ দলে ওপেনিং নিয়ে এখন নানা পরীক্ষা-নিরিক্ষা করা হচ্ছে। নিয়মিত ওপেনারদের ব্যর্থতায় খেলানো হচ্ছে মেকশিফট ওপেনারদের। কিন্তু তামিমের মনে হয়, যারা ওপেনার তাদের দিয়েই ওপেনিং করানো উচিত। তবে অন্য কাউকে নিয়ে যদি পরিকল্পনা থাকে তাহলে তাদেরও সময় দেওয়ার পক্ষে এই অভিজ্ঞ ওপেনার।
তামিম বলেন, “আমার মনে হয়, যারা ওপেন করে তাদেরকে দিয়ে ওপেন করানো উচিত। এটা নিয়ে তাদের যদি অন্য কোনো প্ল্যান থাকে তাহলে সেটাকে আমি ভুল বলতে পারবো না। আমি সাব্বির বা মিরাজকে এখনই বাদ দিতে চাই না। ওদেরকে সময় ও সুযোগ দেওয়া উচিত। যদি তারপরেও করতে না পারে, তাহলে পরিকল্পনায় বদল এনে ওদেরকে সরানো যেতে পারে।”
ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ২১ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। তামিম বলছেন পাকিস্তানের দেওয়া ১৬৮ রানের লক্ষ্য চেজ করার মতো হলেও সেটা তাদের বোলিং আক্রমণ বিবেচনা করলে অনেক বড় লক্ষ্য।
“১৬৫ (আসলে ১৬৮) অবশ্য চেজ করার মতো। সাথে এটাও মনে রাখতে হবে, পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণ কঠিন। অন্য দলের জন্য ১৮০-৯০ যা হয়, পাকিস্তানের জন্য ১৬৫ (১৬৮) কিন্তু ওটাই। ১৬৭ করতেও কিন্তু আমাদের খুব ভালো খেলতে হবে। একটা পর্যায়ে কিন্তু মনে হচ্ছিলো হয়ে যেতে পারে। দুর্ভাগ্যবশত আমরা যখন ব্যাক টু ব্যাক উইকেট হারালাম তখনই আমরা পিছিয়ে গেলাম” যোগ করেন তামিম ইকবাল।
স্পোর্টসমেইল২৪/এসকেডি