ত্রিদেশীয় সিরিজে জয়-পরাজয়ের চেয়ে বিশ্বকাপের আগে ব্যাটে-বলে লড়াইয়ের মানসিকতা তৈরির দিকেই বেশি মনোযোগী বাংলাদেশ দল। তবে মোস্তাফিজ-হাসান মাসুদদের বোলিং ব্যর্থতার পর ব্যাট হাতেও তেমন জবাব দিতে পারলো না টাইগার ব্যাটাররা। নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে পাকিস্তানের বিপক্ষে হার দিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ শুরু করলো বাংলাদেশ।
শুক্রবার (৭ অক্টোবর) সিরিজের প্রথম ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করে ৫ উইকেটে ১৬৭ রানের সংগ্রহ গড়ে পাকিস্তান। দলের পক্ষে ব্যাট হাতে অপরাজিত ৭৮ রানের ইনিংস খেলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান।
জয়ের জন্য ১৬৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ব্যাট হাতে বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন টাইগার ব্যাটাররা। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রান করে বাংলাদেশ। ফলে ২১ রানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে সোহানরা।
ক্রাইস্টচার্চে ওপেন করতে নেমে শেষ পর্যন্ত দলকে টেনে নিয়ে গেছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান, খেলেছেন অপরাজিত ৭৮ রানের ইনিংস। ৫০ বলের তার এই ইনিংসে ৭টি চার এবং ২টি ছক্কার মার ছিল। টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থাকা এ ব্যাটার সর্বশেষ ১২ ম্যাচের মধ্যে ৮টিতেই ফিফটি করলেন।
বিজওয়ানের ব্যাটিং তাণ্ডবে ব্যর্থ ছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। বিশেষ করে মোস্তাফিজুর রহমান এবং হাসান মাহমুদ ছিলেন বেশ খরচের বোলার। চার ওভারে ৪২ রান দিয়ে হাসান মাহমুদ একটি উইকেট পেলেও ৪৮ রান দিয়ে উইকেট শূন্য ছিলেন মোস্তাফিজ।
বোলিংয়ে ব্যর্থতার পর ব্যাটেও তেমন একটা লড়াই করতে পারে বাংলাদেশি বোলাররা। ২৫ রানের উদ্বোধীয় জুটি ভাঙার পর ৩৭ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দুই ওপেনারকে হারানোর পর লিটন দাস এবং আফিফ রানের চাকা সচল রাখেন। তারাও বেশি দূর যেতে পারেননি।
দলীয় ৮৭ রানে ব্যক্তিগত ৩৫ রানে সাজঘরে ফিরেন লিটন দাস। এরপর ব্যাট হাতে মাঠে নেমে গোল্ডেন ডাক মারেন সাইফুদ্দিন। আফিফও বেশি দূর আর এগুতে পারেননি। দল শতরান থেকে ১ রান দূরে থাকতে ব্যক্তিগত ২৫ রানে ফিরেন আফিফ।
লিটন-আফিফ চলে যাওয়ার পর ব্যাট হাতে প্রতিরোধ গড়ে ইয়াসির আলী। তবে বাকি ব্যাটারদের যাওয়া-আসার মাঝে হারের ব্যবধান কমানো ছাড়া আর কিছুই করার সম্ভব ছিল না তার। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ১৪৬ রান করে বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে ২১ বলে ৪২ রানে অপরাজিত ছিলেন ইয়াসির আলী। ম্যাচ সেরা হয়েছেন পাকিস্তানের মোহাম্মদ রিজওয়ান।
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস