বাংলাদেশে চলমান নারী এশিয়া কাপে পাকিস্তান নারী ক্রিকেট দলকে হারিয়ে দিয়েছে থাইল্যান্ডের মেয়েরা। পাকিস্তান নারী দলকে ৪ উইকেটে হারিয়ে দিয়েছে তারা। আসরে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হারের স্বাদ নেওয়ার পর শক্তিশালী পাকিস্তানকে হারিয়ে ‘অঘটন’র জন্ম দিল থাইল্যান্ড নারী দল।
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে থাইল্যান্ড বোলাদের বিপক্ষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১১৬ রানের সংগ্রহ গড়ে পাকিস্তার নারী ক্রিকেট দল। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১ বল বাকি থাকতে ৪ উইকেটে জয় তুলে নেয় থাইল্যান্ড।
চলমান এশিয়া কপে থাইল্যান্ড নারী ক্রিকেট দলের এটি প্রথম জয়। বিপরীতে শক্তিশালী পাকিস্তান নারী ক্রিকেট দলের আসরে এটি প্রথম হার।
ব্যাট করতে নেমে ভালোই শুরু করে পাকিস্তানের দুই ওপেনার। ইনিংসের পঞ্চম ওভারের দ্বিতীয় বলে প্রধম উইকেট হারায় তারা। ওপেনার মুনিবা আলি ১৪ বলে ১৫ রান করে সাজঘরে ফিরলে দলীয় ২৫ রানে পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে।
মুনিবা আলি চলে গেলেও অধিনায়ক বিসমা মারুফকে সাথে নিয়ে রানের গতি সচল রাখেন অপর ওপেনার সিদরা আমীন। তবে অষ্টম ওভারে শেষ বলে অধিনায়ক বিসমা মারুফ (৩) রান আউটে কাটা পড়লে কপাল পুড়ে পাকিস্তান নারী দলের। দলে বাকি আরও তিন ব্যাটারও ফিরেন রান আউটে কাটা পড়ে।
ইনিংসের শেষ ওভারে তৃতীয় বলে সাজঘরে ফিরেন ওপেনার সিদরা আমীন। দলীয় ১১৬ রানের মধ্যে সিদরা আমীনের ব্যাট থেকেই আসে ৫৬ রান। ৬৪ বলে ৪টি চারের মারে এ ইনিংস সাজান তিনি। এছাড়া দলের বাকি ব্যাটাররা ছিলেন যাওয়া-আসার মাঝে।
জয়ের জন্য ১১৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত খেলেন থাইল্যান্ডের দুই ওপেনার। উদ্বোধনী জুটিতে তারা ৪০ রান তুলেন। তবে একই ওভারের দুই উইকেট হারিয়ে কিছুটা ধাক্কা খায় থাই মেয়েরা। দলীয় ৪০ রানেই দলের দুই ব্যাটার ফিরেন।
পর পর দুই ব্যাটার সাজঘরে ফিরলেও ওপেনার নথকান চনথাম ছিলেন ব্যাট হাতে অবিচল। ব্যাট হাতে রানে গতি ঠিক রাখেন তিনি। তবে দলীয় ৮২ রানের আবারও ছন্দপতন ঘটে থাইল্যান্ড শিবিরে। তৃতীয় উইকেট হারায় থাইল্যান্ডের মেয়েরা।
থাইল্যান্ডের তৃতীয় উইকেট তুলে নিয়ে চালকের আসনে বসে পাকিস্তান। পাকি বোলারদের সামনে থাই মেয়েদের রান তোলাই কষ্টকর হয়ে যায়। ফলে দলীয় ৮৮ রানে চতুর্থ, ৯৯ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় থাইল্যান্ড।
দলের ব্যাটারদের এমন যাওয়া-আসার মাঝে ব্যাট হাতে রানের চাকা সচল রেখেছিলেন নথকান চনথাম। তবে দলীয় ১০৫ রানে থাইল্যান্ডের এ ব্যাটার সাজঘরে ফিরলে হারের শঙ্কা জাগে। ইনিংসের ৮ বল বাকি থাকতে সাজঘরে ফিরেন তিনি। ৫১ বলে ৫টি চারও ২টি ছক্কার মারে ৬১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন চনথাম।
ষষ্ঠ উইকেট হারানোর পর জয়ের জন্য থাইল্যান্ডের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৮ বলে ১২ রান। হারের শঙ্কা জাগলেও কাজের কাজটি করে থাইল্যান্ড। ১ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় থাইল্যান্ডের মেয়েরা। ম্যাচ সেরা হয়েছেন নথকান চনথাম।
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস