শিরোপা ধরে রাখার মিশনে জয় দিয়ে এশিয়া কাপ মিশন শুরু করতে চায় বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম গ্রাউন্ডে-২এ থাইল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশের প্রমীলারা। শনিবার (১ অক্টোবর) সকাল ৯টায় শুরু হওয়া ম্যাচটি দেখতে দর্শকদের কোনো টিকেট লাগবে না।
এশিয়ার সাতটি দল নিয়ে অনুষ্ঠিতব্য এবারের আসরটি ২০২০ সালে মাঠে গড়ানোর কথা ছিল। তবে বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯-এর কারণে তা স্থগিত হয়ে যায়। সর্বশেষ ২০১৮ সালে মালয়েশিয়ায় উত্তেজনাপূর্ণ ফাইনালের শেষ বলে শক্তিশালী ভারতকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপ জিতেছিল বাংলাদেশ নারী দল।
ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা বাংলাদেশের জন্য বাড়তি চাপ। তবে সম্প্রতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় আত্মবিশ্বাসী পুরো দল। এছাড়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ফাইনালে আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে হ্যাটট্টিক চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। ফলে শিরোপা ধরে রাখার ব্যাপারে আশাবাদী বাংলাদেশ নারী দল।
ইনজুরির কারণে বাছাইপর্বে খেলতে পারেননি পেসার জাহানারা আলম। তবে এশিয়া কাপের দলে ফিরেছেন তিনি। জাহানারাকে পেয়ে উজ্জীবিত বাংলাদেশ। এছাড়া কোভিড থেকে সুস্থ হয়ে দলে ফিরেছেন ফারজানা হক পিংকি। টাইগ্রেসের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি জানিয়েছেন, এখন শুধু এশিয়া কাপে দিকেই মনোযোগ দিতে চান তারা।
জ্যোতি বলেন, “যেহেতু আমরা ঘরের মাঠে খেলবো, তাই কোন চাপ অনুভব করছি না। নিজেদেরকে এগিয়ে রাখছি। আমি মনে করি, সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা হলো- আমরা বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছি। যা পুরো দলকে অনুপ্রাণিত করছে।”
ইংল্যান্ডের মাটিতে সদ্যই প্রথমবারের মতো দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জিতেছে ভারত। এশিয়া কাপে এবারও বাংলাদেশের প্রধান প্রতিন্দ্বন্দি ভারত। তবে নিগার সুলতানার মতে টুর্নামেন্টের সকল অংশগ্রহণকারী দলই নিজেদের খেলায় অনেক উন্নতি করেছে। তাই শুধুমাত্র একটি দলকে প্রতিন্দ্বন্দি ভাবার কোনো সুযোগ নেই।
অধিনায়ক বলেন, “এখানে প্রতিটি দল যথেষ্ট শক্তিশালী এবং এখন খুব ভালো ক্রিকেট খেলছে তারা। সবাইকে সমান গুরুত্ব দিতে হবে এবং তাদের সবার বিপক্ষে ভালো খেলতে হবে আমাদের। তবে আমরা শিরোপা ধরে রাখার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। কারণ আমরা ঘরের মাঠে খেলছি এবং দল ভালো অবস্থায় আছে।”
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে একটি ম্যাচেও হারেনি বাংলাদেশ। ফলে এশিয়া কাপের জন্য এর চেয়ে ভালো প্রস্তুতি হতে পারে না বলে মনে করেন নিগার। বলেন, “আমি বলবো, এটা ছিল আমাদের জন্য সেরা প্রস্তুতি, কারণ ম্যাচ খেলার চেয়ে ভালো প্রস্তুতি আর নেই।”
তিনি আরও বলেন, “যেহেতু আমরা একই ফরম্যাটে খেলছি, এটা এশিয়া কাপে আমাদের অনেক সাহায্য করবে। আমরা এক সাথে খেলছি এবং এশিয়া কাপের জন্য টিম কম্বিনেশন পেয়েছি, দল হিসেবে খেলতে পারলে এশিয়া কাপেও ভালো কিছু হবে বলে আমি মনে করি।”
টুর্নামেন্টের সবগুলো ম্যাচই হবে সিলেটে। ২৪টি ম্যাচের মধ্যে ৯টি হবে সিলেটের আউটার ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। বাকি ১৫টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের টুুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী ৭টি দল একে অপরের মুখোমুখি হবে। ১৫ অক্টোবর ফাইনাল দিয়ে পর্দা নামবে নারী এশিয়া কাপ ২০২২।
এশিয়া কাপে বাংলাদেশ দল
নিগার সুলতানা জ্যোতি (অধিনায়ক), শামিমা সুলতানা, ফারাজানা হক পিংকি, রুমানা আহমেদ, রিতু মনি, লতা মন্ডল, সালমা খাতুন, সোবহানা মুস্তারি, নাহিদা আক্তার, মুর্শিদা খাতুন, জাহানারা আলম, ফাহিমা খাতুন, সানজিদা আক্তার মেঘলা, ফারিহা ইসলাম তৃষ্ণা ও সোহেলি আক্তার।
স্ট্যান্ড-বাই
মারুফা আক্তার, শারমিন আক্তার সুপ্তা, নুজহাত তাসনিয়া ও রাবেয়া খান।
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস