পাকিস্তানের কাছে পাত্তাই পেল না অস্ট্রেলিয়া। ফাইনালের আগে গুরুত্বহীন ম্যাচে অজিদের ৪৫ রানে হারিয়েছিল সরফরাজ আহমেদের দল। এবার আসল লড়াইয়েও জয় তুলে নিলো। তাও আবার রেকর্ড রান তাড়া করে ৪ বল হাতে রেখেই ৬ উইকেটে জয় তুলে নিয়েছে পাকিস্তান। একই সঙ্গে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের ট্রফিটাও নিজেদের করে নিলো পাকিস্তান।
প্রথমে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১৮৩ রান তুলেছিল অস্ট্রেলিয়া। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যেটি বেশ বড় সংগ্রহই। তাছাড়া এত বড় রান তাড়া করে এর আগে জিততে পারেনি পাকিস্তান। সর্বোচ্চ ১৭৮ রান তাড়া করে তারা জিতেছিল টি-টোয়েন্টিতে। ২০১২ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ক্যান্ডিতে। এবার সেই রেকর্ড ভেঙেছে সরফরাজের দল।
টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে দাপটের সঙ্গেই রান তুলেছে অস্ট্রেলিয়া। দুই ওপেনার ডি'আরচি শর্ট আর অ্যারন ফিঞ্চ দলকে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করিয়ে দেন। ডি'আরচি শর্ট ৫৩ বলে করেন ৭৬ রান। ফিঞ্চ ২৭ বলে করেন ৪৭। তবে বাকিদের কেউ বিশের ঘরও পেরুতে পারেননি। ট্রাভিস হেড করেন ১৯ রান। পাকিস্তানের পক্ষে ৩৩ রানে ৩টি উইকেট নেন তারকা পেসার মোহাম্মদ আমির। দুটি উইকেট শাদাব খানের।
জবাব দিতে নেমে শুরুতে বড় বিপদেই পড়েছিল পাকিস্তান। ইনিংসের প্রথম ওভারেই শাহিবজাদা ফারহান আর হুসাইন তালাতকে সাজঘরে ফিরিয়ে দেন স্পিনার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ২ রানে ২ উইকেট হারানো পাকিস্তান এরপর দারুণভাবে ম্যাচে ফিরেছে ওপেনার ফাখর জামানের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে।
চতুর্থ উইকেটে অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদকে নিয়ে ১০৭ রানের বড় জুটি গড়েন ফাখর। ২৮ রান করে সরফরাজ রানআউটের কবলে পড়লেও সেঞ্চুরির ভালো সম্ভাবনা ছিল পাকিস্তানী ওপেনারের। তবে শেষ পর্যন্ত ৪৬ বলে ১২ বাউন্ডারি আর ৩ ছক্কায় ৯১ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। তারপর বাকি কাজটা সেরেছেন শোয়েব মালিক আর আসিফ আলি। শোয়েব ৩৭ বলে ৪৩ আর আসিফ ১১ বলে ১৭ রানে অপরাজিত ছিলেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
অস্ট্রেলিয়া : ২০ ওভারে ১৮৩/৮ (শর্ট ৭৬, ফিঞ্চ ৪৭, হেড ১৯; আমির ৩/৩৩, ফাহিম ১/৩৮, হাসান ১/৩৮, শাহিন শাহ ১/৩২, শাদাব ২/৩৮)।
পাকিস্তান : ১৯.২ ওভারে ১৮৭/৪ (ফখর ৯১, সরফরাজ ২৮, মালিক ৪৩*, আসিফ ১৭*; ম্যাক্সওয়েল ২/৩৫, রিচার্ডসন ১/২৯)।
ফল : পাকিস্তান ৬ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : ফখর জামান
ম্যান অব দ্য সিরিজ : ফখর জামান