টানা দুই ম্যাচে ম্যাচ সেরার পুরষ্কার পাওয়ার পর কোয়ালিফায়ারের ম্যাচে নিষ্প্রভ থাকলেন সাকিব আল হাসান। আর তাতে তার দলের জয়ের রথও থেমে গেলো। সাকিবের অনুজ্জ্বল দিনে বার্বাডোজ রয়্যালসের বিপক্ষে গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স হেরেছে ৮৭ রানের বড় ব্যবধানে।
মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (সিপিএল) প্রথম কোয়ালিফায়ার টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করতে নামে সাকিবের দল গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স।
বোলিং করতে গিয়ে রয়্যালসের রহিম কর্নওয়েলের তোপের মুখে পড়েন গায়ানা। মাত্র ৫৪ বলে ক্যারিয়ারে সর্বোচ্চ ১১ ছক্কা ও দুই চারে ৯১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন তিনি। কর্নওয়েলের কাছে ছক্কা খেয়ে পরের বলেই তাকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান সাকিব আল হাসান।
এর আগে অবশ্য ব্যক্তিগত আট রানে সাকিবের কাছেই জীবন পেয়েছিলেন কর্নওয়েল। কিমো পলের বলে তার শট সাকিব হাতে তালুবন্দি করলেও ভারসাম্য ধরে রাখতে পারেননি। ফলে বাউন্ডারি লাইনে তার পা স্পর্শ করে এবং আউটের বদলে ছক্কা হয়ে যায়।
ইনিংসের ৯ম ওভারে প্রথম বোলিংয়ে আসেন সাকিব। বার্বাডোজের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের সামনেও মাত্র তিন রান দিয়ে ওভার শেষ করেন তিনি। পরের ওভারের পঞ্চম বলে ছক্কা হজম করলে ওই ওভারে আসে ৯ রান
সাকিবকে এদিন কোটার চার ওভার করাননি গায়ান অধিনায়ক। তৃতীয় ওভারে কর্নওয়েলের উইকেট সহ ১০ রান দেন তিনি। যার ফলে তার বোলিং ফিগার দাঁড়ায় ৩-০-২২-১।
কর্নওয়েলের পর বার্বাডোজের পাকিস্তানি ব্যাটার আজম খানের ৩৫ বলে ৫২ রানের জড়ে ১৯৫ রানের বড় সংগ্রহ পায় দলটি।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে গায়ানা। ২৬ রানে দুই উইকেট হারানো পর উইকেটে আসেন সাকিব। তবে এদিন মাত্র দুই বলে এক রান করেই ফিরে যান তিনি। দলীয় ২৮ রানে সাকিবকে ফেরান র্যামন সিমন্ডস।
এদিন গায়ানা অধিনায়ক শিমরন হেটমায়ার ছাড়া আর কোনো ব্যাটারই উইকেটে থিতু হতে পারেননি। তার ২৯ বলে ৩৭ রানের ইনিংসের পরও অন্যদের ব্যর্থতায় মাত্র ১০৮ রানে অলআউট হয় গায়ানা।
তবে এখনই ফাইনালে যাওয়ার আশা ফুরিয়ে যাচ্ছে না। সাকিবরা আরও একটি সুযোগ পাবেন ফাইনাল খেলার জন্য। এলিমিনেটরে জ্যামাইকা তালাওয়াহস ও সেন্ট লুসিয়া কিংসের মধ্যে জয়ী দলের বিপক্ষে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে জিততে পারলে ফাইনাল খেলতে পারবে সাকিবের দল গায়ানা।
স্পোর্টসমেইল২৪/এসকেডি