ছোট্ট আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে দলের বিপর্যয়ে ভরসার প্রতীক হয়ে উঠেছেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার আফিফ হোসাইন। টপঅর্ডারের ব্যর্থতায় মিডল অর্ডারে ব্যাট হাতে অনেকবারই বাংলাদেশকে খাদের কিনারা থেকে উদ্ধার করেছেন।
রোববার (২৫ সেপ্টেমম্বর) সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষেও একই চিত্র দেখা গেছে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। স্বাগতিকদের বোলিং তোপে ৪৭ রানেই চার উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়েছিল টাইগাররা।
এরপর প্রথমে মোসাদ্দেককে নিয়ে প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দিয়েছেন। এরপর অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানকে নিয়ে গড়েছেন ম্যাচজয়ী জুটি।
তবে বয়স ২৩ হলে ইতিমধ্যে জাতীয় দলের হয়ে খেলে ফেলেছেন ৫০টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। যেগুলোর বেশিরভাগ গুলোতেই অবশ্য তাকে দলের বিপর্যয় সামাল দিতেই বেশি মনোযোগ দিতে হয়েছে।
কালও তেমনই হয়েছে। তবে বরাবরেই মতো কালও বেশ দক্ষতার সঙ্গেই বিপর্যয় সামাল দিয়েছেন। ৫৫ বলে তিন ছক্কা ও সাত চারে ক্যারিয়ার সেরা ৭৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে এনে দিয়েছেন লড়াই করার পুঁজি। দিনশেষে সেই রানটাই জেতার জন্য বাংলাদেশ পর্যাপ্ত বানিয়ে নিয়েছে।
তবে আফিফের ব্যাট হাতে রান করায় যতটা ক্ষুধা কথা বলতে ঠিক ততটা অনীহা! ম্যাচ শেষে সামনের ম্যাচগুলোতে প্রত্যাশা জানতে চাইলে এক লাইনেই উত্তর দেন তিনি। আফিফ বলেন, “আশা করি, পরের ম্যাচ থেকে আরও বেশি রান করবো।”
আফিফ জানালেন শুরুতে ব্যাটিং মোটেও সহজ ছিল না কাল। কিন্তু পরে যখন সোহানের সঙ্গে জুটি গড়েছেন উইকেট ধীরে ধীরে সহজ হয়ে উঠেছিল বলে মত তার।
“শুরুতে উইকেট কঠিন ছিল। বল গ্রিপ করছিল। টপ অর্ডার ভালো করতে পারেনি। আমি আর সোহান ভাই যখন ব্যাট করছিলাম, উইকেট আস্তে আস্তে ভালো হচ্ছিল বলে আমরা ভালো ব্যাট করতে পেরেছি” যোগ করেন আফিফ।
ব্যাটিং করার সময় সোহানের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত উইকেটে টিকে থাকার কথা বলেছিলেন বলে জানান আফিফ। তার মনে হচ্ছিল, শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করতে পারলে ভালো স্কোর ছুড়ে দেওয়া যাবে।
আফিফ বলেন, “আমাদের মধ্যে কথা হচ্ছিল যে, দুজন যদি শেষ পর্যন্ত থাকতে পারি, দুজনেরই বিশ্বাস ছিল যে দলকে একটা ভালো স্কোরে নিয়ে যেতে পারব।”
৫০ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ৪৫ ইনিংসে ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছেন আফিফ। এ সময়ে তিন ফিফটিতে তার সংগ্রহ ৮২৬ রান।
স্পোর্টসমেইল২৪/এসকেডি