ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) নতুন দলের হয়ে চলতি আসরের শুরুটা ভালো হয়নি সাকিবের। তবে নিজের তৃতীয় ম্যাচে এসে ছন্দে ফিরলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। আর তাতেই কেল্লাফতে গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্সের। সাকিবের ‘ম্যাচ সেরা’ পারফর্মেন্সে প্লে অফের টিকিট নিশ্চিত করেছে দলটি।
প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে প্রথম বলেই শূন্য রানে আউটের পর বল হাতে চার ওভারে ৩০ রান দিয়ে এক উইকেট। দ্বিতীয় ম্যাচে আবারও প্রথম বলে আউট এবং বল হাতে দুই উইকেট দিলেও রান দিয়েছিলেন ৩৩ ।
টানা দুই ম্যাচে এরকম নিজের ছায়া হয়ে থাকার পর অবশেষে নিজের চেনা ছন্দে ফিরেছেন সাকিব। তবে সে সময় সাকিব নিজে জ্বলে না উঠতে পারলেও তার দল টানা দুই ম্যাচে জয় পেয়েছিল।
আর এবার তো সাকিব নিজে জেতালেন দলকে। আগের দুই ম্যাচে টানা দুই শূন্য করা সাকিব এদিনও ব্যাট করতে নেমেছিলেন চার নম্বরে। প্রথম ১১ বলে তার রান ছিল ১০, খুব একটা স্বাছন্দ্যে ব্যাটিং করতে পারছিলেন না।
Shakib al Hasan is this evenings @Dream11 MVP!! He pulled off a superb piece of fielding to runout Pooran, he batted well, scoring 35 from 25 deliveries and took 3 wickets. Shakib al Hasan take a bow!! #CPL22 #GAWvTKR #CricketPlayedLouder #Dream11 #BiggestPartyInSport pic.twitter.com/ohHxCnGC3B
— CPL T20 (@CPL) September 25, 2022
তবে এরপরই হাত খোলা শুরু করেন বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। ত্রিবাগো নাইট রাইডার্সের ইংলিশ স্পিনার সামিত প্যাটেলের এক ওভারেই তিন বাউন্ডারি হাঁকান তিনি। এরপরের ওভারে সুনীল নারীনের ওভারে আরও এক ছক্কা। সব মিলিয়ে শেষ পর্যন্ত ২৫ বলে চারটি বাউন্ডারি ও একটি ওভার বাউন্ডারিতে ৩৫ রানে আউট হন সাকিব।
সাকিবের পর অধিনায়ক শিমরন হেটমায়ার ও পেসার ওশোয়ান স্মিথের ঝড়ো ক্যামিওতে ১৭৩ রানের পুঁজি পায় গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স।
বল হাতেও সাকিব যেন এদিন নিজেকে খুঁজে পেয়েছেন। নিজের ব্যক্তিগত প্রথম ওভার করতে এসেই দলকে প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেন তিনি। নাইটের কিউই ওপেনার টিম সেইফার্টকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলে ফিরিয়ে দেন সাকিব। ওই ওভারে রান দিয়েছেন মাত্র এক।
দ্বিতীয় ওভারে মাত্র সাত রান দিলেও কোনো উইকেটের দেখা পাননি তিনি। এরপর ইনিংসের ১৭তম ওভারে বোলিং করতে আসেন সাকিব। এবার দলকে সবচেয়ে বড় উইকেটে এনে দেন। তার বলে শর্ট বলে ছক্কা মারতে মিসহিট করে ক্যাচ তুলে দেন আন্দ্রে রাসেল।
১৯তম ওভারে নিজের কোটার শেষ ওভার করতে এসেই প্রথম বলে সুনীল নারিনের কাছে বাউন্ডারি হজম করেন সাকিব। এরপর টানা দুই বল ডট দিয়ে চতুর্থ বলে নারিনকেও ফিরিয়ে দেন তিনি। সব মিলিয়ে চার ওভার শেষে ২০ রান দিয়ে তিন উইকেট। এর সঙ্গে সরাসরি থ্রোতে একটি রান আউটও করেছেন সাকিব।
ব্যাটে-বলে এরকম দুর্দান্ত পারফর্মেন্সের দিনে ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার খুঁজে বের করতে হয়তো খুব একটা সমস্যা হয়নি দায়িত্বে থাকা সংশিষ্টদের। সহজেই সাকিবকে বেছে নিতে পেরেছেন ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার হিসেবে।
সাকিবের দুর্দান্ত বোলিংয়ে নাইট রাইডার্সকে ১৩৬ রানে অলআউট করে ৩৭ রানের জয় তুলে নিয়েছে অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স। সাকিব যাওয়ার আগে মাত্র এক জয়ে যে দলটি পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে ছিল, টানা তিন জয়ে তারাই এখন পয়েন্ট টেবিলের দুই নম্বরে। একই সঙ্গে প্লে অফের টিকিটও পেয়ে গেছে সাকিবের দল।
স্পোর্টসমেইল২৪/এসকেডি