বাছাইপর্বের দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে স্বল্প রানের সংগ্রহ গড়ে কিছুটা চিন্তার ভাঁজ ফেলেদিয়েছিল বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। মুর্শিদা-জ্যোতি-রুমানা-রিতুরা স্বল্প রানের পূঁজি পেলেও বল হাতে দুর্দান্ত খেলেছেন সালমা-মেঘলারা। থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ১১ রান জয় তুলে বিশ্বকাপের মূল পর্বে জাগয়া করেছে নিয়েছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল।
শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১১৩ সংগ্রহ গড়ে বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১০২ রান করতে পারেন থাইল্যান্ডের মেয়েরা। ফলে ১১ রানের জয় পায় বাংলাদেশ।
এ জয়ে দ্বিতীয় দল হিসেবে বাছাইপর্বের ফাইনালে এবং বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। এর আগে দিনের প্রথম সেমি-ফাইনালে জিম্বাবুয়েকে মাত্র ৪ রানে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে আয়ারল্যান্ড।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটি থেকে ৩৪ রান পায় বাংলাদেশ। ইনিংসের সপ্তম ওভারের পঞ্চম বলে ফারজানা হক (১১) আউট হলে বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে। মুর্শিদা খাতুনের সাথে ওপেন করতে নেমে ১৭ বলে ১ চার এ রান করেন ফারজানা।
প্রথম উইকেট হারানোর পর মুর্শিদার সাথে ব্যাট হাতে উইকেটে জুটি গড়েন অধিনায়ক নিগার সুলতারা জ্যোতি। ১২তম ওভারের তৃতীয় বলে মুর্শিদা (২৬) সাজঘরে ফিরলে দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৩৫ বল খেলে ২টি চারের মারে ২৬ রান করেন মুর্শিদা।
এরপর ব্যাট হাতে বড় ইনিংস খেলতে পারেননি টাইগ্রেসদের দলনেতা। ২৪ বলে ২টি চারের মারে ১৭ রানে সাজঘরে ফিরলে দলীয় ৬৪ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ১৭তম ওভারের শেষ বলে দলীয় ৮১ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
১০ বলে ৬ রান করা সোবহানা মোস্তারি আউট হওয়ার পর শতরানের নিচেই ইনিংস থেকে যাওয়ার শঙ্কা জাগে। তবে রুমানা আহমেদ এবং ঋতু মনির ব্যাটে ১১৩ রানের সংগ্রহ গড়ে বাংলাদেশ। ইনিংসে শেষ বলে রান আউটে কাটা পড়ার আগে ঋতু মনির ব্যাট থেকে আসে ১০ বলে ৩টি চারের ১৭ রান।
এছাড়া ২৪ বলে ২টি চার এবং একটি ছয়ের মারে ২৮ রানে অপরজিত ছিলেন রুমানা আহমেদ।
জয়ের জন্য ১১৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে জয়ের কাছেই চলে গিয়েছিল থাইল্যান্ডের মেয়েরা। তবে সালমা-মেঘলাদের বুদ্ধিদিপ্ত বোলিংয়ে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।
থাইল্যান্ডের নথকান চনথাম ৬৪ রানের ইনিংস খেলেন। ওয়ান ডাউনে ব্যাট করতে নেমে শেষ ওভারের পঞ্চম বলে সাজঘরে ফিরেন তিনি। সালমা খাতুনের বলে সাজঘরে ফেরার আগে ৫১ বলে ৪টি চার এবং ৩টি ছক্কার মারে এ ইনিংস গড়েন তিনি। এছড়া বাকি ব্যাটারদের মধ্যে আরও কেউ বড় ইনিংস খেলতে পারেননি।
বল হাতে বাংলাদেশের পক্ষে সালমা খাতুন ৩টি, সানজিদা আক্তার মেঘলা ২টি এবং নাহিদা আক্তার একটি উইকেট শিকার করেন। দল হারলেও ম্যাচ সেরা হয়েছেন থাইল্যান্ডের নথকান চনথাম।
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস