টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে পাকিস্তানের দলীয় রানের সিংহভাগই আসছে দুই ওপেনার বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের ব্যাট থেকে। তবে আসল সমস্যা হচ্ছে রান করার গতি নিয়ে। রান তোলার শ্লথ গতি নিয়ে সমালোচনায় বিদ্ধ হতে হচ্ছে দু’জনকেই।
এমনকি অনেকে বলছেন, অধিনায়ক বাবরের ওপেনই করা উচিত নয়। একধাপ এগিয়ে পাকিস্তানের সাবেক পেসার আকিব জাভেদ বলেছেন, প্রতিপক্ষ আউটই করতে চায় না বাবরকে। কারণ বাবর উইকেটে থাকলে রান উঠবে শ্লথ গতিতে।
এসব ব্যক্তিগত মতকে পাত্তা না দিলেও ব্যক্তিগত আক্রমণে হতাশ পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর। যদিও সাবেক ক্রিকেটারদের মতামতকে খুব একটা গুরত্ব দিচ্ছেন না তিনি।
বাবর বলেন, “সাবেক ক্রিকেটাররা নিজেদের মতামত জানাতেই পারেন। তবে যেটা হতাশার, তা হলো ব্যক্তিগত আক্রমণ। সাবেক ক্রিকেটাররাও নিজেদের সময়ে এটার মধ্য দিয়ে গেছেন এবং তারা ভালো করেই জানেন, কতটা চাপ ও দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হয় আমাদের। আমি ব্যক্তিগতভাবে এসব মতামতকে পাত্তা দেই না। আমার কাছে এসবের কোনো মূল্য নেই।”
ওয়ানডে ও টেস্টের ব্যাটিং নিয়ে যতটা প্রশংসিত ঠিক ততটাই টি-টোয়েন্টির ব্যাটিং নিয়ে সমালোচিত বাবর। যদিও তার ক্যারিয়ার স্ট্রাইক রেট এখনো খুব একটা খারাপ নয় (১২৮)।
কিন্তু আধুনিক ক্রিকেটে বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে প্রথম ছয় ওভারের পাওয়ারপ্লে কাজে লাগিয়ে ঝড়ো শুরু এনে দেন ওপেনাররা। সেই কাজেই পাকিস্তানের দুই ওপেনার খুব একটা সফল নন।
ফলে স্ট্রাইক রেট নিয়েই সমালোচনায় পড়ছেন তিনি। গেলে এশিয়া কাপে স্ট্রাইক রেট তো দূরের কথা রানই করতে পারেননি তিনি। ফলে আইসিসির টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটার র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান হারিয়েছেন।
যদিও বাইরে যতই সমালোচনা হোক না কেন সেগুলোকে পাত্তা দিতে রাজি নন বাবর। তিনি বরং পাকিস্তান দল নিয়েই চিন্তা করতে চান।
“সবারই নিজস্ব মতামত থাকতে পারে। আমি স্রেফ পাকিস্তান দল নিয়েই কথা বলতে চাই। লোকের নিজস্ব অভিমত থাকবেই। আমরা সেসবে কান দেই না বা তারা কী বলে, এসবকে পাত্তা দেই না” যোগ করেন বাবর।
ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবারের সাত ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে মুখোমুখি হচ্ছে পাকিস্তান ও ইংল্যান্ড। সিরিজের প্রথম ম্যাচে মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে আটটায় ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে পাকিস্তান।
স্পোর্টসমেইল২৪/এসকেডি