স্পোর্টসমেইল২৪
এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠেছে পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কা। তবে তার আগে সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। ফাইনালের আগে নিয়ম রক্ষার এ ‘রিহার্সেল’ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে সহজ জয় তুলে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা।
শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে বোলিং করতে নামে শ্রীলঙ্কা। বিপরীতে ব্যাট করতে নেমে লঙ্কার বোলারদের তেপে পড়ে ৫ বল বাকি থাকতেই ১২১ রানের গুটিয়ে যায় পাকিস্তান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে ১৮ বল বাকি রেখেই ৫ উইকেটে জয় তুলে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। এখন রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) এ দুই দলের মধ্যকার ফাইনাল ম্যাচ দিয়েই পর্দা নামবে এবারের এশিয়া কাপের।
প্রথম ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান ও অধিনায়ক বাবর আজম। তবে ২১ বলে ২৮ রান যোগ করে জওটি। । ১৪ রানে বিদায় নেন রিজওয়ান। দ্বিতীয় উইকেটে ফখর জামানকে নিয়ে ৩৫ বলে ৩৫ রান তুলেন বাবর।
নবম ও দশম ওভারে ৫ রানের ব্যবধানে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন জামান ও বাবর। বাবর ২৯ বলে ৩০ ও জামান ১৩ রান করেন।
৬৮ রানে ৩ উইকেট পতনের পর চাপে পড়ে পাকিস্তান। শ্রীলঙ্কার স্পিনার হাসারাঙ্গা ডি সিলভা-মহেশ থিকশানা ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার তোপে ইনিংসের ৫ বল বইব থাকতে ১২১ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান।
বাবর ও জামানের পর মাত্র দুই ব্যাটার দুই অংকের কোটা স্পর্শ করতে পারেন। ইফেতখার আহমেদ ১৩ ও মোহাম্মদ নাওয়াজ ১৮ বলে ২৬ রান করেন। ১৯ ওভার পর্যন্ত খেলে পাকিস্তানকে সম্মানজনক স্কোর এনে দেন নাওয়াজ। শ্রীলঙ্কার হাসারাঙ্গা ২১ রানে ৩টি, থিকশানা ২১ রানে-প্রামোদ মধুশান ২টি ও ধনাঞ্জয়া-করুনারত্নে ১টি করে উইকেট নেন।
১২২ রানের সহজ টার্গেটে খেলতে নেমে শুরুতে মহাচাপে পড়ে শ্রীলঙ্কাও। ৮ বলের ব্যবধানে মাত্র ২ রানে ২ উইকেট হারায় তারা। কুশল মেন্ডিস ও দানুস্কা গুনাথিলাকা খালি হাতে প্যাভিলিয়নে ফিরেন। উইকেট দু’টি ভাগাভাগি করে নেন পাকিস্তানের দুই পেসার মোহাম্মদ হাসনাইন ও হারিস রউফ।
শুরুর ধাক্কা সামলে ওঠার চেষ্টা করেন আরেক ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা ও ধনাঞ্জয়া। তৃতীয় উইকেটে ২৭ রানের জুটি গড়েন তারা। ৮ রান করা ধনাঞ্জয়াকে শিকার করে এই জুটি ভেঙে পাকিস্তানকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন রউফ।
২৯ রানে তৃতীয় উইকেট পতনের পর নিশাঙ্কার সাথে দলের হাল ধরেন ভানুকা রাজাপাকসে। চাপে থেকেও পাকিস্তানের বোলারদের পাল্টা আক্রমণ করেন নিশাঙ্কা ও রাজাপাকসে। দু’জনের মারমুখী জুটিতে আসে ৩৯ বলে ৫১ রান। এ জুটির কল্যাণেই ম্যাচ জয়ের পথে থাকে শ্রীলঙ্কা। ২টি ছক্কায় ১৯ বলে ২৪ রান করে আউট হন রাজাপাকসে।
রাজাপাকসের পর ক্রিজে এসেই মারমুখী হয়ে উঠেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দাসুন শানাকা। ২টি ছক্কা ও ১টি চারে ম্যাচ হাতের নাগালে নিয়ে আসেন শানাকা। জয় থেকে ৯ রান দূরে থাকতে বিদায় নেন শানাকা। ১৬ বলে ২১ রান তুলেন লঙ্কান অধিনায়ক।
অধিনায়কের বিদায়ে উইকেটে গিয়েই ম্যাচের ইতি টানেন হাসারাঙ্গা। মাত্র ৩ বল খেলে ২টি চারে ১০ রান তুলে শ্রীলঙ্কার জয় নিশ্চিত করেন হাসারাঙ্গা।
শানাকার সাথে পঞ্চম উইকেটে ৩০ বলে ৩৩ রানের জুটি গড়ার সময় টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সপ্তম হাফ-সেঞ্চুরি করেন নিশাঙ্কা। শেষ পর্যন্ত ৪৮ বলে ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় অপরাজিত ৫৫ রান করেন নিশাঙ্কা।
পাকিস্তানের হাসনাইন-রউফ ২টি করে উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হয়েছেন শ্রীলঙ্কার হাসারাঙ্গা।
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস
