সংযুক্ত আরব আমিরাতে চলমান এশিয়া কাপে পাকিস্তানের অবিশ্বাস্য জয়ে নায়ক বনে গেছেন নাসিম শাহ। শেষ উইকেটে জুটিতে ইনিংসের শেষ ওভারে পর পর দুটি ছক্কা হাঁকিয়ে জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন তিনি। আফগানিস্তানের বিপক্ষে এ জয়ে চলমান এশিয়া কাপের ফাইনালে পা রেখেছে বাবর আজমরা। পাকিস্তানের এ জয়ের চেয়ে বেশি প্রশংসার ভাসছেন টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবার ব্যাট করার সুযোগ পাওয়া নাসিম শাহ।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে সুপার ফোরে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের জন্য ১৩০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে হারের শঙ্কায় পগে পাকিস্তান। শেষ দিকে পর পর উইকেট তুলে নিয়ে স্বল্প পুঁজিতে দুর্দান্তভাবে ম্যাচে ফিরে আফগানরা। ফলে জয়ের জন্য শেষ ওভারে পাকিস্তানের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১১ রান।
ইনিংসের ১৯তম ওভারের দুই উইকেট হারানো পাকিস্তানের জন্য শেষ ওভারে ১১ রান তোলা প্রায় অসম্ভব ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। কারণ উইকেটে তখন স্ট্রাইকে ছিলেন টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে প্রথম বারের মতো ব্যাটিং করতে যাওয়া পাকিস্তানের ডান হাতি ফাস্ট বোলার নাসিম শাহ। আর অন্যপ্রান্তে ননস্ট্রাইকে ছিলেন ২০ ম্যাচে ৭ ইনিংসে ব্যাটিং করে ৫ রান করা মোহাম্মদ হাসনাইন।
তবে সব অসম্ভবকে সম্ভব করে ৪ বল বাকি থাকতেই পাকিস্তানকে জয়ের স্বাদ এনে দেস নাসিম শাহ। তবে শেষ ওভারে বল করতে আসা আফগানিস্তানের ফজলহক ফারুকীর প্রথম দুই বলেই পর পর ছক্কা মেরে বসেন নাসিম শাহ। অবিশ্বাস্যভাবে জয় তুলে নেওয়ায় উল্লাসে ভাসেন বাবর আজমরা।
ম্যাচ শেষে টি-টোয়েন্টিতে নিজের প্রথম ব্যাটিংয়েই এমন আত্মবিশ্বাসের নেপথ্যের গল্প শোনান নাসিম শাহ। বলেন, “যখন আমি উইকেটে গেলাম তখন আসিফ আলী ভাই ছিলেন এবং আমার কাজ ছিল তাকে স্ট্রাইক দেওয়া। কিন্তু সে যখন আউট হয়ে গেল, দায়িত্বটা পড়লো আমার উপর।”
নাসিম বলেন, “আমার বিশ্বাস ছিল ছয় মারতে পারবো। আমি অনুশীলন (ছক্কা মারা) করি এবং আমি জানতাম বোলার হয়তো ইয়র্কার করতে যাচ্ছে। বিশ্বাস রাখতে হয়, আমরা নেটে অনুশীলন করি। ওভারের শুরুতে আমি হাসনাইনের কাছ থেকে আমার ব্যাটও বদলে ফেলেছিলাম। আমার ব্যাট ভালো ছিল না। এটা কাজে লেগেছে।”
দুই ছক্কা হাঁকানোর আগে ২ বলে ২ রান করেছিলেন নাসিম। ফলে ৪ বলে ১৪ রানের অপরাজিত ইনিংসেই দলের জয় নিশ্চিত হয়। নাসিম শাহহ বলেন, “যখন ৯ উইকেট পড়ে যায় তখন খুব কমই বিশ্বাস থাকে, তবে আমার নিজের প্রতি বিশ্বাস ছিল। এটা আমার জন্য স্মরণীয় ম্যাচ হয়ে থাকবে।”
ম্যাচ শেষে পুরষ্কার বিতরণীদে নাসিমের এমন শাহসের প্রশংসা করেন অধিনায়ক বাবর আজম। শুধু প্রশংসাই নয়, তুলে আনলেন মিয়াঁদাদের ছক্কার প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, “এই ছক্কা দেখে তো জাভেদ ভাইয়ের কথা মনে পড়ে গেছে। শারজাহতে উনি ছক্কা মেরেছিলেন। সে রকম কিছুই হলো আজ।”
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস