আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশি উইকেটরক্ষক ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। এশিয়া কাপে ভরাডুবি হয়ে দেশে ফেরার একদিনের মাথায় এই সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি।
রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগাগ মাধ্যম ফেসবুক ও টুইটারে দেওয়া স্ট্যাটাসে ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাট থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেন মুশফিক। তবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ছাড়লেও ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট সহ ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট খেলবেন তিনি।
অবসরের ঘোষণা দেওয়া স্ট্যাটাসে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে মুশফিক ভালো ও খারাপ সময়ে সমানভাবে সমর্থন দেওয়ার সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
মুশফিক বলেন, “দীর্ঘ ক্রিকেট ক্যারিয়ারের যাত্রায় আমি আপনাদের সবাইকে পাশে পেয়েছি। ভাল এবং খারাপ দুই সময়েই আপনাদের অকুন্ঠ সমর্থন আমার প্রেরনা।টি টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ার থেকে আজ আমি অবসর নিচ্ছি।”
মুশফিক আরও বলেন, “তবে, বাংলাদেশের হয়ে টেস্ট এবং ওয়ানডে খেলা চালিয়ে যাবো। আশা করছি এই দুই ফরম্যাটে আমি আরো কিছু নিয়ে আসতে পারবো দেশের জন্য। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ(বিপিএল) সহ অন্যান্য ফ্রেঞ্চাইজি লিগে আমি আমার খেলা চালিয়ে যাবো টি টোয়েন্টি ফরম্যাটে।”
সাম্প্রতিক টি-টোয়েন্টিতে মুশফিকের পারফর্ম্যান্সের অবস্থা যাচ্ছেতাই। দলের প্রত্যাশা মেটানো তো দূরের কথা, নূন্যতম পারফর্মও করতে পারছিলেন না। বিশ্রামের আড়ালে জিম্বাবুয়ে সিরিজে তাকে বাদই দেয় নির্বাচকরা।
তবে অধিনায়ক হয়ে এশিয়া কাপের দলে মুশফিককে ফেরান সাকিব আল হাসান। কিন্তু অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি মুশফিক। গ্রুপপর্বের কোনো ম্যাচেই ব্যাট হাতে রান পাননি। এমনকি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাঁচা মরাই লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্যাচ মিস করে সমালোচনার মুখে পড়েনে এই অভিজ্ঞ উইকেটরক্ষক ব্যাটার।
এশিয়া কাপে এমন পারফর্ম্যান্সের পর নিউজিল্যান্ডে ত্রীদেশিয় সিরিজ ও অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে তার থাকার সম্ভাবনা কমে এসেছিল। তবে ততদিন আর অপেক্ষা করেননি, তার আগেই বিদায় বলে দিয়েছেন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিকে।
২০০৬ সালের ২৮ নভেম্বর খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্কে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অভিষেক হয় মুশফিকের। প্রায় ১৬ বছরের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ১০২ ম্যাচ খেলেছেন তিনি।
এ সময়ে তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৫০০ রান। যেখানে সর্বোচ্চ স্কোর ৭২* সহ রয়েছে ছয়টি হাফ সেঞ্চুরি। উইকেটের পিছনে দাঁড়ানো মুশফিকের এই ফরম্যাটে রয়েছে ৪২টি ক্যাচ ও ৩০টি স্টাম্পিং।
স্পোর্টসমেইল২৪/এসকেডি