সংযুক্ত আরব আমিরাতে শনিবার (২৭ আগস্ট) থেকে মাঠে এশিয়া কাপ ক্রিকেট। বিশ্বকাপের পর এশিয়ার এই বৃহৎ ক্রিকেটীয় টুর্নামেন্ট দিয়ে নতুনভাবে শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তবে টাইগারদের প্রধান কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোকে পাচ্ছেন না সাকিব আল হাসানরা। কারণ, টি-টোয়েন্টির কোচিং থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার এ কোচকে সরিয়ে দিয়েছে ক্রিকেট বোর্ড।
রাসেল ডোমিঙ্গোর ফিলোসফির সাথে বাংলাদেশ ক্রিকেট মিলতেছিল না -বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই চলছিল নানা আলোচনা। অবশেষে সোমবার (২২ আগস্ট) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়ে দিলেন বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের সাথে আর নেই রাসেল ডোমিঙ্গো।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব থাকলেও রাসেল ডোমিঙ্গো এখন থেকে টেস্ট এবং ওয়ানডে ক্রিকেটে মাস্টারি করবেন। অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত এ নীতিতেই চলবে বাংলাদেশ ক্রিকেট। ফলে বাংলাদেশ দল শুধু এশিয়া কাপে নয়, বিশ্বকাপে খেলায় সময়ও হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো থাকবেন ঢাকায়।
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, “রাসেল ডমিঙ্গো টি-টোয়েন্টিতে নয়, আমরা তাকে ওয়ানডে ও টেস্টের দায়িত্ব দিয়েছি। আমরা টি-টোয়েন্টিটা আলাদা করেছি।”
টি-টোয়েন্টি থেকে ডোমিঙ্গোকে সরিয়ে দিলেও তিনিই এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রধান কোচ। ফলে এশিয়া কাপের পর অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপেও বাংলাদেশ দলের সাথে ঘোষিত কোন প্রধান কোচ থাকছেন না।
বিসিবি সভাপতি বলেন, “হেড কোচ বলতে (টি-টোয়েন্টি) এখন পর্যন্ত কেউ নেই। এখানটায় আমাদের ব্যাটিং কোচ রয়েছে। আমাদের স্পিন কোচ, পেস বোলিং কোচ, ফিল্ডিং কোচ রয়েছে। আমাদের অধিনায়ক আছে। টি-টোয়েন্টিতে আমাদের টেকনিক্যাল পরামর্শক (শ্রীধরন শ্রীরাম) আছে একজন। সে গেম প্ল্যান দেবে। যদি গেম প্ল্যান সে দেয়, তাহলে হেড কোচ আর কী করবে। প্রধান কোচের তো কোনো কাজ থাকে না।”
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি রাসেল ডোমিঙ্গোও মেনে নিয়েছেন। শুধু তাই নয়, বিসিবির এ চিন্তাকে গ্রেড বলেও সম্বোধন করেছেন তিনি।
নাজমুল হাসান পাপন কথা বলার সময় উপস্থিত ছিলেন রাসেল ডোমিঙ্গো। তিনি বলেন, “আমি মনে করি ধারণাটা দারুণ। টেস্ট ম্যাচ এবং ৫০ ওভারের ম্যাচে ফোকাস দিতে পারবো। টি-টোয়েন্টিতে আমাদের কিছু ম্যাচে ভালো করেছি, কিছু খারাপ করেছি। আমি মনে করি না টি-টোয়েন্টিতে নতুন কিছু অ্যাপ্রোচ করা খারাপ। এ ব্যাপারে আমি খুব উদার মনের। দলকে ভালো করার জন্যই আমি সব কিছুর জন্য প্রস্তুত।”
টি-টোয়েন্টি দলের কোচিং থেকে মুক্ত পাওয়া ডোমিঙ্গোর আপাতত নভেম্বর পর্যন্ত তেমন কোনো কাজ নেই। ডোমিঙ্গো বলেন, “৫০ ওভারের বিশ্বকাপ আসছে। আমরা জানি টেস্ট দলের সঙ্গে অনেক কাজ করতে হবে। পরিবারের সাথে কিছুটা সময় কাটাতে পারবো। গত বছর পাঁচ সপ্তাহ বাড়িতে ছিলাম। পারিবারিক জীবন আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। এটা টিকিয়ে রাখা খুব কঠিন। ফ্রেশ হয়ে টুর্নামেন্টে ভালো মনোভাব নিয়ে আসা যাবে।”
২০১৯ সালের আগস্টে বাংলাদেশ দলের হেড কোচের দায়িত্ব পান দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো। এক বছরের মেয়াদ শেষে দুই মেয়াদে চুক্তি বেড়েছে তার। বর্তমান মেয়অদে ২০২৩ সালের নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের সাথে থাকবেন তিনি। তবে এরপর তার সাথে যে চুক্তির মেয়াদ বাড়াবে না বিসিবি সেটি এখন নিশ্চিত।
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস