এশিয়া কাপের প্রস্তুতি হিসেবে দুই দলে বিভক্ত হয়ে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম ওয়ার্ম আপ ম্যাচ খেলতে নেমেছিল টাইগাররা। ম্যাচে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন লাল দলকে ৪ উইকেটে হারিয়ে দিয়েছে আফিফ হোসেন ধ্রুবর নেতৃত্বাধীন সবুজ দল। তবে ম্যাচটিতে টাইগারদের ভুলগুলো ছিল চোখে পড়ার মতো।
ম্যাচটির ফলাফল সেভাবে গুরুত্ব বহন না করলেও খেলোয়াড়দের ব্যাটিং-বোলিংয়ের প্রস্তুতির লক্ষ্য ছিল টিম ম্যানেজমেন্টের। ফলে ভুল সংশোধনের জন্য ব্যাটার-বোলাররা নিজেদের ঝালিয়ে নিতে একাধিক সুযোগ পেয়েছেন। আউট হয়েও আবারও ব্যাট হাতে মাঠে নেমেছেন একাধিক ক্রিকেটার। দুই দলের বেশির ভাগ ব্যাটার দু’বার ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছেন।
যদিও ব্যাটিং এবং বোলিং ঠিক-ঠাক হয়নি। সেই সাথে ফিল্ডিংও বড় মাথাব্যথার কারণ হিসেবে দেখা দিয়েছে। যা গত তিন-চার বছর ধরেই দলের উদ্বেগের বড় কারণ হয়ে আছে। এর আগে গুরুত্বপূর্ণ ক্যাচ ফেলে দেওয়ায় বেশ কয়েকটি ম্যাচে হারতে হয়েছে দলকে। আজকের অনুশীলন ম্যাচেও অন্তত তিনটি সুযোগ নষ্ট করেছেন ফিল্ডাররা।
ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৬৫ রান করে লাল দল। তবে সবুজের সামনে টার্গেট দাঁড়ায় ১৪৮ রান। কারণ, একাধিক ব্যাটার আউট হওয়ার পর দ্বিতীয়বার ব্যাটিং করেছে। যা প্রতিপক্ষের লক্ষ্য হিসেবে গণনা করা হয়নি। ব্যাট করতে নেমে মাত্র এক বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটে ১৫০ রান করে সবুজ দল।
দুইবার ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছেন এনামুল হক বিজয়, সাকিব আল হাসান, আফিফ হোসেন ধ্রুব এবং মাহেদি হাসান। তাদের মধ্যে শুধু সাকিব ও মাহেদি ভালো করতে পেরেছেন।
লাল দলের অধিনায়ক সাকিব প্রথমবার ব্যাট করে ১৩ বলে ১৭ রান করেন। পরে ব্যাট করতে এসে ২৪ বলে তিন ছক্কায় অপরাজিত ৩৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। এছাড়া প্রথমবার ৪ রানে আউট হওয়ার পর দ্বিতীয়বার ১৯ রান করেন বিজয়।
প্রথমবার পেসার এবাদত হোসেনের স্লোয়ার ডেলিভারিতে কভারে আফিফকে ক্যাচ দিয়ে আউট হন সাকিব। দ্বিতীয়বার তাকে কেউই আউট করতে পারেনি। তবে তাসকিনের বলে তার ইনসাইড আউট শট সবার নজর কাড়ে। এছাড়াও এবাদতের বলে বাউন্সারে মাথায় আঘাতের আগে মিড উইকেট দিয়ে দুর্দান্ত একটি শট মারেন সেটিও ছিল দর্শনীয়।
এশিয়া কাপের আগে বাংলাদেশের মাথাব্যথার কারণ ওপেনিং। টি-টোয়েন্টিতে বিজয় সমস্যার সমাধান করবেন বলে ধারণা করা হলেও লাল দলের ওপেনার হিসেবে তাসকিনের বলে প্রথমবার চার রানে আউট হন তিনি। দ্বিতীয় সুযোগে দু’টি ছক্কায় ১০ বলে ১৯ রান করেন বিজয়। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ১৭ বলে ৩০ রান করেন।
প্রথমবার লাল দলের হয়ে ব্যাট করে শূন্য রানে আউট হন মাহেদি। পরে সবুজ দলের হয়ে ব্যাট করে সাতটি চারের সহায়তায় ১৬ বলে ৩১ রান করেন তিনি। সবুজ দলের হয়ে মুশফিক ২২ রান করলেও মাত্র ১২ রান করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
এদিকে, যুব দলের ক্রিকেটার রবিন সবুজ দলের হয়ে বলের সাথে পাল্লা দিয়ে ২৪ রান করে চমক দেখান। তার সাথে ওপেনিংয়ে আসা মেহেদি হাসান মিরাজ ২১ বলে ২৯ রান করেন। সবুজ দলের অধিনায়ক আফিফ হোসেন ব্যাট হাতে ব্যর্থ ছিলেন। মাত্র ৮ রান করেন তিনি। পরে আবার ব্যাট করতে নামলে এক রান করে রান আউট হন আফিফ। দীর্ঘদিন পর খেলতে নেমে তিন চার ও এক ছক্কায় ১৭ বলে ২৬ রান করেন নিজের সামর্থ্য দেখিয়েছেন সাইফউদ্দিন।
বোলিংয়ে সবুজ দলের হয়ে তাসকিন ও নাসুম আহমেদ যথাক্রমে ৪২ ও ২১ রানে দু’টি উইকেট নেন। লাল দলের হয়ে দু’টি করে উইকেট ভাগাভাগি করেন সাকিব ও হাসান মুরাদ।
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস