বাংলাদেশের ক্রিকেটে বইছে পালাবদলের হাওয়া। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আমূল পরিবর্তন আনছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের জায়গায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত অধিনায়ক করা হয়েছে সাকিব আল হাসানকে। এছাড়া ভারতের সাবেক ক্রিকেটার শ্রীরাম শ্রীধরণকে টি-টোয়েন্টি দলের কনস্যালটান্ট হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে বিসিবি।
সবাই আশা করছেন ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে এবার ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশ। তবে সেটা যে রাতারাতি সম্ভব নয় সেটা মনে করিয়ে দিয়েছেন নতুন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
বরং যদি আমরা যদি যদি মনে করি যে দুই-একদিনে সব পরিবর্তন হবে তাইলে বোকার রাজ্যে বাস করছি বলে মন্তব্য করেন সাকিব।
বলেন, "যদি আমি মনে করি এখনই একদিন-দুইদিনে কিছু পরিবর্তন করে ফেলব বা অন্য কেউ এসে পরিবর্তন করে দিতে পারবে। তাহলে আমরা বোকার রাজ্যে বাস করছি।”
‘ডমিঙ্গোর ফিলোসফি মানাচ্ছে না, এশিয়া কাপে নতুন দর্শনে খেলবে বাংলাদেশ’
আপাতত এশিয়া কাপে কোনো লক্ষ্য নেই সাকিবের, সব মনোযোগ বিশ্বকাপে। যে পরিবর্তনগুলো হবে সেটা দেখা যাবে চলতি বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে, এমনই মনে করেন সাকিব।
“দেখুন, আমার কাছে কোনো লক্ষ্য (এশিয়া কাপে) নেই। আমার লক্ষ্য হচ্ছে বিশ্বকাপে যেয়ে যেন ভালো কিছু করতে পারি। প্রস্তুতি হিসেবে এগুলো। যদি বাস্তবিক চিন্তা করেন আশা করি আমরা যখন বিশ্বকাপ খেলব, একটা উন্নতি যদি দেখতে পারেন ওইটাই আসলে আমাদের.. (প্রাপ্তি)।'
২০১৯ সালে বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক ছিলেন সাকিব। খুব দ্রুত ওয়ানডে অধিনায়কত্বও পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জুয়ারির প্রস্তাব গোপন করায় নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েন তিনি।
এরপর ক্রিকেটে ফেরার প্রায় দেড় বছর পর আবারও ফিরেছেন টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে। নতুন করে দেশকে আবারও নেত্বতৃ দিতে পেরে রোমাঞ্চিত অনুভব করছেন সাকিব।
কোচ নয়, টি-টোয়েন্টি দলের টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট শ্রীরাম
বলেন, “দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারা তো সবসময় অনেক গর্বের বিষয়। আমি খুবই আনন্দিত, রোমাঞ্চিত এবং নতুন চ্যালেঞ্জের জন্য আমি মনে করি প্রস্তুত।”
বাংলাদেশকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ২১ ম্যাচে নেত্বতৃ দিয়েছেন সাকিব। যেখানে ১৪ হারের বিপরীতে বাংলাদেশ জয় পেয়েছে সাত ম্যাচে। সর্বপ্রথম ২০০৯ সালে টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হন সাকিব।
অধিনায়ক হিসেবে খেলা ২১ ম্যাচে ব্যাট হাতে সাকিবের সংগ্রহ ৪৫৪ রান, যেখানে রয়েছে তিনটি হাফসেঞ্চুরি। এ সময়ে বল হাতে ২৭ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ২০ রানে পাঁচ উইকেট অধিনায়ক হিসেবে সাকিবের সেরা বোলিং ফিগার।
স্পোর্টসমেইল২৪/এসকেডি