টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেওয়ার আগে দীর্ঘদিন ধরেই এই ফরম্যাট থেকে দূরে ছিলেন ওপেনার তামিম ইকবাল। এরপর থেকেই বাংলাদেশ দলে ওপেনার সঙ্কট। সেই সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে না পারা বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট এবার বিবেচনায় নিয়ে এসেছে সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের নাম। সাথে আছে শেখ মাহেদি ও মেহেদি হাসান মিরাজের নামও।
সর্বশেষ জিম্বাবুয়ে সিরিজে ওপেনার হিসেবে লিটন দাসের সঙ্গী ছিলেন মুনিম শাহরিয়ার ও পারভেজ হোসেন ইমন। ফর্মে থাকা লিটনকে ইনজুরির কারণে এশিয়া কাপে পাবে না বাংলাদেশ। আর ওই সফরে ব্যর্থতার তালিকায় নাম লিখিয়ে বাদ পড়েছেন মুনিম। এক ম্যাচ সুযোগ পাওয়া ইমনের সাথে এশিয়া কাপের স্কোয়াডে আছে এনামুল হক বিজয়ের নাম।
এই দুই ওপেনারকে নিয়েই বাংলাদেশ খেলতে যাবে এশিয়া কাপ। টুর্নামেন্টের আগে দুই ব্যাটারই জাতীয় দলের অ্যাসাইনমেন্টে ব্যর্থ হওয়ায় আস্থা নেই তাদের উপর। এই দুই ব্যাটারের বদলি হিসেবে ওপেনিংয়ে তাই এসেছে সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের নাম।
শুধু সাকিব-মুশফিকেই সীমাবদ্ধ নেই টিম ম্যানেজমেন্টের ভাবনা। তাদের ভাবনায় আছে মেহেদি হাসান মিরাজ ও শেখ মাহেদির নামও।
সোমবার (১৫ আগস্ট) মিরপুরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। তিনি বলেন, “স্বীকৃত ওপেনার বিজয় ও ইমন। তবে অন্য অনেকেই আছে যারা লোকাল ক্রিকেটে ওপেনিং করেছে। মুশফিক হতে পারে, সাকিবও হতে পারে। মিরাজও হতে পারে, শেখ মেহেদীও ওপেনার হতে পারে। অনেক গুলো অপশন আছে আমাদের হাতে।”
এদিকে ওপেনিংয়ে নিয়মিত মুখ নন সাকিব-মুশফিক। দুইজনই একটি করে ইনিংসে ওপেনিংয়ে মাঠে নেমেছেন। তবে সেই জায়গায় তারা কেউই দিতে পারেননি টিম ম্যানেজমেন্টের আস্থার প্রতিদান।
এশিয়া কাপের স্কোয়াডে সাকিবকে বেশ খুশি টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। বলেন, “আমরা ভালো করছি না বলেই চেষ্টা করছি যে কীভাবে ভালো করা যায়। সাকিব ফিরেছে- এটা খুবই ইতিবাচক দিক। সবাই একবাক্যে স্বীকার করব যে, এই ফরম্যাটে সাকিব সবচেয়ে অভিজ্ঞ। এই ফরম্যাটে সে বিশ্বব্যাপী অনেক ক্রিকেট খেলে।”
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর