অনেক নাটকের পর মোটামুটি ‘নির্দিষ্ট’ সময়ের জন্য টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক পেয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। আসন্ন এশিয়া কাপ, নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়েছেন অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
তবে এবারই প্রথমবার বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হলেন না সাকিব আল হাসান। এর আগে বাংলাদেশকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ২১ ম্যাচে নেত্বতৃ দিয়েছেন তিনি। যেখানে ১৪ হারের বিপরীতে বাংলাদেশ জয় পেয়েছে সাত ম্যাচে। সর্বপ্রথম ২০০৯ সালে টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হন সাকিব।
অধিনায়ক হিসেবে খেলা ২১ ম্যাচে ব্যাট হাতে সাকিবের সংগ্রহ ৪৫৪ রান, যেখানে রয়েছে তিনটি হাফসেঞ্চুরি। এ সময়ে বল হাতে ২৭ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ২০ রানে পাঁচ উইকেট অধিনায়ক হিসেবে সাকিবের সেরা বোলিং ফিগার।
এর আগে সর্বশেষ জিম্বাবুয়ের সিরিজে উইকেটরক্ষক ব্যাটার নুরুল হাসান সোহান অধিনায়কত্ব করলেও সেটা ছিল এক সিরিজের জন্য। এখন পর্যন্ত ৯ জন ভিন্ন অধিনায়কের অধীনে অন্তত একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। যেখানে পাঁচজন স্থায়ী ও চারজন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হয়েছিলেন।
এশিয়া কাপে অধিনায়ক সাকিব, স্কোয়াডে মাহমুদউল্লাহ
যেখানে সবচেয়ে বেশি ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। অথচ কখনো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড তার অধিনায়কত্বের সম্পর্কে নির্দিষ্ট করে কিছু জানায়নি।
তবে নির্দিষ্ট করে না বললেও আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত মাহমুদউল্লাহ রিয়াদেরই বাংলাদেশ দলকে নেত্বতৃ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ব্যাট হাতে ভয়াবহ অফফর্মের জেরে অধিনায়কত্ব হারালেন তিনি। যদিও এশিয়া কাপের দলে তাকে ঠিকই রেখেছেন নির্বাচকরা।
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি ম্যাচে নেত্বতৃ দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তার অধিনায়কত্বের ৪৩ ম্যাচে ১৬ ম্যাচে জিতেছে বাংলাদেশ। ২৬ ম্যাচে হার দেখেছে রিয়াদের দল ও এক ম্যাচে কোনো ফল হয়নি।
২০০৬ সালে বাংলাদেশকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সর্বপ্রথম নেত্বতৃ দিয়েছেন বাঁহাতি ব্যাটার শাহরিয়ার নাফিস। ওই ম্যাচে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ, যদিও তার পরে আর অধিনায়কত্ব করা হয়নি তার।
নাফিস ছাড়া একটি করে ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেছেন লিটন কুমার দাস ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। দু’জনের কেউই জয়ের দেখা পাননি।
২৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশকে নেত্বতৃ দিয়েছেন উইকেটরক্ষ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। যেখানে ১৪ ম্যাচে হারের বিপরীতে আট ম্যাচে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। বাকি এক ম্যাচে কোনো ফল আসেনি।
এছাড়া ১১টি ম্যাচে বাংলাদেশকে নেত্বতৃ দিয়েছেন মোহাম্মদ আশরাফুল। তার অধীনে মাত্র দুই ম্যাচে জিতেছে বাংলাদেশ। বাকি ৯ ম্যাচেই হারের মুখ দেখতে হয়েছে টাইগারদের।
বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার অধীনে ২৮টি টি-টোয়েন্টি খেলেছে বাংলাদেশ। যেখানে ১৮ ম্য্যাচে হারের বিপরীতে ১০ ম্যাচে জিতেছে টাইগাররা।
এছাড়া বাংলাদেশকে দুইটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে নেত্বতৃ দিয়েছেন নুরুল হাসান সোহান। তার অধিনায়কত্বে বাংলাদেশ সমান একটি করে ম্যাচ জিতেছে ও হেরেছে।
স্পোর্টসমেইল২৪/এসকেডি