মাত্র এক বছর আগেও ভারতীয় ক্রিকেটে সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া। অফ ফর্ম, ইনজুরিতে বিপর্যস্ত হার্দিকের উপর থেকে নির্বাচকরাও ভরসা হারিয়ে ফেলেছিলেন।
এরপর নিজেকে গড়েছেন, ভাগ্যও পাশে ছিল হার্দিকের। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) তাকে মুম্বাই ধরে না রাখায় বেশ অবাক হয়েছিলেন। তবে মুম্বাই ছেড়ে দেওয়ায় আখেরে লাভই হয়েছে তার।
আইপিএলের নতুন দল গুজরাট লায়ন্সের অধিনায়কত্বের ভার উঠেছে কাধে। পুরো আসরে দারুণ অধিনায়কত্ব করে ক্রিকেট মহলে বেশ প্রশংসাও কুড়িয়েছেন। প্রথম আসরেই গুজরাটকে চ্যাম্পিয়ন করেছেন, নিজের ফর্ম ফিরে পেয়েছেন।
আইপিএল চলাকালীনই তাকে অনেকেই ভারতের ভবিষ্যৎ অধিনায়ক বলতে শুরু করেছেন। অনেকেই মনে করেন রোহিতের পর অন্তত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে হার্দিকই হবেন পরবর্তী ভারত অধিনায়ক।
এশিয়া কাপ খেলবেন না জাসপ্রিত বুমরাহ
হার্দিকের অবশ্য জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব করতে আপত্তি নেই! বরং ভারতকে নেত্বতৃ দিতে পারলে খুশি হবেন বলে জানিয়েছেন।
হার্দিক বলেন, “হ্যাঁ, কেন নয়? যদি ভবিষ্যতে (পূর্ণকালীন) সুযোগ পাই, অধিনায়কত্ব (ভারতের) করতে আমি আরও বেশি খুশি হব।”
এখন পর্যন্ত ভারতকে তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে নেত্বতৃ দিয়েছেন হার্দিক। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচে সদ্য শেষ হওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের শেষ ম্যাচে। ভারতের অধিনায়ক হিসেবে হার্দিকের সাফল্যের হার শতভাগ।
তবে অধিনায়কত্ব নয় বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপে এখন বেশি মনোযোগ হার্দিকের। দল হিসেবে ভালো করার পাশাপাশি খেলাটাকে উপভোগ করার বিষয়েও তাগিদ দেন এই ভারতীয় অলরাউন্ডার।
“কিন্তু এই মুহূর্তে আমাদের বিশ্বকাপ আছে, সামনেই আছে এশিয়া কাপ। সেদিকেই আমরা মনোযোগ দিচ্ছি। দল হিসেবে আমরা যা করছি, তা অব্যাহত রাখা নিশ্চিত করতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে, যেসব দক্ষতা আমরা অর্জন করছি তা আরও ভালো করতে হবে। একই সঙ্গে খেলাটাও উপভোগ করতে হবে” যোগ করেন হার্দিক।