দলে নিউজিল্যান্ডের স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার মিচেল স্যান্টনারের কাজ মূলত বল হাতে, মাঝেমধ্যে ইনিংসের শেষে কয়েকটা বল ব্যাট করার সুযোগ পান, তবে সেটারও নিশ্চয়তা নেই। কাল টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে প্রথমবার তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে রীতিমতো ব্যাট হাতে টর্নেডো চালিয়েছেন তিনি। তার বিষ্ফোরক ইনিংসে হেগে আরও একটি জয় পেয়েছে নিউজিল্যান্ড।
শুক্রবার (৫ আগস্ট) নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে টস হেরে প্রথমে ফিল্ডিং করতে নামে নিউজিল্যান্ড। ২০ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে ১৪৭ রান তোলে স্বাগতিক নেদারল্যান্ডস। ডাচ ব্যাটার বাস ডে লেড ৪৮ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় অপরাজিত ৫৩ রান করেন।
১৪৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই ওপেনার মার্টিন গাপটিলকে হারায় নিউজিল্যান্ড। তিন নম্বরে সবাইকে অনেকটা অবাক করে ব্যাটিং করতে নামেন এই ম্যাচের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবার টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটিং করতে নেমে ডাচ বোলারদের যে উপর যে ঝড় চালিয়েছেন সেটা তারা অনেক দিন মনে রাখবে। ৬৮ ম্যাচের ক্যারিয়ারে সর্বোচ্চ ছিল ৩৭, কাল করলেন ৭৭!
‘এই ধরাটা একদিন না একদিন খেতেই হতো’
মাঠে নেমে মুখোমুখি হওয়া দ্বিতীয় বলেই ছক্কা হাকান স্যান্টনার, সেই যে শুরু ম্যাচ শেষের আগে এই ঝড় থামাতে পারেনি নেদারল্যান্ডসের কোনো বোলার।
মাত্র ২৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি পুর্ণ করা স্যান্টনারের ইনিংসে খুত বলতে ৩৯ রানে একবার জীবন পাওয়া! তবে সেটাও খুব একটা সহজ ক্যাচ ছিল না।
মাত্র ৪২ বলে ৭৭ রানের বিষ্ফোরক ইনিংস খেলে দলের জয় নিশ্চিত করে তবেই মাঠ ছাড়েন অধিনায়ক। তা ইনিংসে ছিল ৯ চার ও ৪ ছক্কা। স্যান্টনারের অন্যপ্রান্তে ড্যারি মিচেলও থেমে ছিলেন না, সমানতালে তিনিও টর্নেডো চালিয়েছিলেন ডাচ বোলারদের উপর।
২৭ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫১ রানের ইনিংস খেলেন ড্যারিল মিচেল। স্যান্টনার ও মিচেলের ৬৫ বলে ১২৩ রানের জুটিতে ছয় ওভার থাকতেই জয় নিশ্চিত হয়ে কিউইদের।
এই জয়ের নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-০ ব্যবধানে জিতলো নিউজিল্যান্ড। ইউরোপ সফরে ১১টি ম্যাচ খেলে সবগুলোতেই জয় পেয়েছে কিউইরা।
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধান জেতার আগে আয়ারল্যান্ডে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে ৬-০, স্কটল্যান্ডে ৩-০ ব্যবধানে জিতেছে নিউজিল্যান্ড।
স্পোর্টসমেইল২৪/এসকেডি